ডেস্ক রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার স্বপ্নের সেতু। এই সেতু সামর্থ্য ও সক্ষমতার সেতু। পদ্মা সেতু একদিকে যেমন মযার্দার প্রতীক অন্যদিকে বাংলাদেশের অপমানের প্রতিশোধ।
রোববার (১২ জুন) পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর জন্য শেখ হাসিনা শুধু না তার পুরো পরিবারকে অপমানিত হতে হয়েছে। পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সাহসে আজকে নির্মিত। নানা বাধা বিপত্তি আসলেও নেত্রী অনড় ছিলেন। পদ্মা সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বেশী ত্যাগ শিকার করেছেন নদীর দুই পাড়ের মানুষ বলেন সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ শিকার করেছে শিবচর ও জাজিরার মানুষ। তাদের বাড়ি ঘর জমি জমা দিয়ে ত্যাগ শিকার করেছে। তারা না হলে সেতু হত না। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ আমরা। তাদের ধন্যবাদ জানাই।
বিশ্বব্যাংক যখন সরে গেলো অনেকের অবিশ্বাস ছিলো, সমালোচনা করেছে পদ্মা সেতু হবে না। যত সমালোচনা হয়েছে তত বেশি মনোবল শক্ত হয়েছে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য বলে জানান সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যারা সমালোচনা করেছে, আজকে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। বিশ্বব্যাংক তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। তারা মনে করে পদ্মা সেতু থেকে সরে গিয়ে তারা ভুল করেছে। মোট কথা আমরা বলতে পারি, ইয়েস ইউ ক্যান!
বিরোধিতাকারীদেরও পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানাবো। ড. ইউনূস, বিশ্বব্যাংক ও খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমরা সেই পরিকল্পনা মতো এগিয়ে যাচ্ছি।
এ সময় ওবায়দুল কাদের পদ্মা সেতুর স্থায়িত্ব ১০০ বছর ধরা হয়েছে বলে জানান।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতু ফলক উন্মোচন করা হবে। ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে জাজিরা প্রান্তের ফলক উন্মোচন করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিপ হুইপ নুরে আলম চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন অপু, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সেতু সচিব মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ।
সেরা টিভি/আকিব