পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে গতকাল আবারও প্লাবিত হয়েছে সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি উপজেলা।
নগরীর গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ বন্যার পানিতে হয়েছে প্লাবিত। পানি উঠেছে বসতবাড়িসহ সরকারী দপ্তরেও।
মাত্র একদিনের ব্যাবধানে সুরমা নদীর পানি বেড়েছে ৪৩ সেন্টিমিটার। এছাড়াও পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণ অব্যাহত থাকায় অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে প্লাবিত হয়েছে দোয়াবাজার-ছাতক সড়ক, তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের শক্তিয়ারখলা সড়ক এবং ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক, এছাড়াও বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের রাধানগর পয়েন্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান। চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানিয়েছে, এক দিনের ব্যবধানে চারটি পয়েন্টে সিলেটের নদ-নদীর পানি বিপত্সীমা অতিক্রম করেছে। কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি গতকাল বিকেলে বিপত্সীমার ১১৪ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে সব পয়েন্টে নদীর পানি বাড়তির দিকে। পানি বাড়ার কারণে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ’
ছাতকে খোলা হয়েছে ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্র। এতে আশ্রয় নিয়েছে অন্তত ৮০ টি পরিবার। আশ্রয়কেন্দ্রের জনসংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ২৪৫ মেট্রিক টন জিআরের চাল মুজদ আছে। পরিস্থিতি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সেরা টিভি/মামুন