ডেস্ক রিপোর্ট:
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার পর দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বাধে সংঘর্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গুলি ছুঁড়লে আহত হন রুবিনা ও তার ৩ বছরের মেয়ে লামিসা।
শিশু লামিসার বাবা সফিউল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, আবাসিক এলাকায় গুলি ছোড়ার সময় একটু চিন্তাভাবনা করলে আমার শিশুসন্তান ও স্ত্রী গুলিবিদ্ধ হতো না। তারা এখনো ভালো নেই। এতে যে ক্ষতিটা হলো, সারা জীবন তা বয়ে বেড়াতে হবে। ’
‘মানুষ যদি ঘরেও নিরাপদ না থাকে তাহলে থাকবে কোথায়। আমার স্ত্রী-সন্তানের শরীরে ৩০টি ছররা গুলি লেগেছে। মেয়ের পেটে, বুকে এবং স্ত্রীর হাতে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির ক্ষত রয়েছে। তীব্র ব্যথা ও যন্ত্রণায় বাচ্চাটা চিৎকার করছে।“
তিনি জানান, ঐদিন তার স্ত্রী ও সন্তান ভোট দিয়ে কেন্দ্রের পাশেই তার শ্বশুরবাড়িতে অবস্থানকালে জানালা খুলে তারা খাটের উপরে বসে ছিল। হঠাৎ করে হট্টগোল শুরু হলে গুলি ছোড়া হয়, জানালা বন্ধ করার সময়ও পায়নি তারা। এর মধ্যেই তারা গুলিবিদ্ধ হয়।
মা-মেয়ে বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ২০৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতাল সূত্র থেকে জানা যায়, রুবিনা ও লামিসার শরীর থেকে কিছু ছররা গুলি বের করা হয়েছে। এর পরও কিছু গুলি বা খোসার অংশ থাকতে পারে। সেটার জন্য চিকিৎসা চলছে।
উক্ত ঘটনায় প্রিজাইডিং অফিসার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘দুই সদস্য পদপ্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ থামাতে ও নির্বাচনের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নিরাপদ রাখতে পুলিশ ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। তাতে তিনজন আহত হওয়ার কথা শুনেছি। আমরা তদন্ত করে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
সেরা টিভি/মামুন