ডেস্ক রিপোর্ট:
দেশজুড়ে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে সিলেট জেলার ৩০ লাখ ও সুনামগঞ্জ জেলার ২০ লাখ মানুষ।
বলা হচ্ছে, গত ১২২ বছরের মধ্যে এমন ভয়াবহ বন্যা দেখেনি সিলেটবাসী।
বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে সিলেট রেলস্টেশনে, যার ফলে সারা দেশের সাথে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিলেটের।
আর বিদ্যুৎ না থাকায় বন্যার পানিতে ডুবে থাকা সিলেট-সুনামগঞ্জ এখনো অন্ধকারে রয়েছে।
সিলেটের সবগুলো উপজেলাই বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, এ পর্যন্ত সিলেটের বন্যার্তদের জন্য ৬১২ টন চাল, ৪২ লাখ টাকা ও ৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, অনেক এলাকায় নৌযানের অভাবে পানিবন্দি লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে পারছে না। তাদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী মাঠে নেমেছে। তারা কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে কাজ করেছন। তিনি জানান, প্রশাসন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী মিলে হাজার খানেক লোককে দুর্গম এলাকা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। জেলা প্রশাসক বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই এখন ফাঁকা নেই। বেশির ভাগই তলিয়ে গেছে। বাকিগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ফলে নগরের বাইরের প্রায় সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি চলছে। প্রবল বর্ষণ ও ঢলের চাপে সিলেটে চলছে মানবিক বিপর্যয়। প্রবাসী যারা রয়েছেন বিভিন্ন দেশে, তারা দেশে থাকা বৃদ্ধ বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
ইতিমধ্যে সিলেট নগর ও জেলার সবকয়টি উপজেলায় পানি ঢুকে পড়েছে। সিলেটে শহরের উঁচু স্থানও প্লাবিত হচ্ছে।
পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, আবহাওয়া বিভাগসহ জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
সেরা টিভি/মামুন