ডেস্ক রিপোর্ট:
সরকারি হিসাব বলছে, সারাদেশে গত জুন মাসে ৪৬৭ টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং এতে নিহত হয়েছে ৫২৪ জন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৮৫০ জন।
মারা যাবার হার সবচেয়ে বেশি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়।
মাস জুড়ে ১৯৭ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মহাসড়কে প্রাণ ঝরেছে ২০৪ টি। যা কিনা দেশের সার্বিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ৩৮.৯৩ শতাংশ এবং মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪২.১৮ শতাংশ।
গতকাল সোমবার জুন মাসের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী ২০৪ জন, বাস যাত্রী ২৪ জন, ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ডাম্পার আরোহী ৩৯ জন, মাইক্রোবাস-প্রাইভেট কার-জিপের যাত্রী ১৪ জন, থ্রিহুইলার যাত্রী (তিন চাকার যান) ১০৬ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী ১৩ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-প্যাডেল ভ্যান আরোহী ১৭ জন নিহত হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৫৯টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৭৪টি আঞ্চলিক সড়কে, ৭২টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৫৬টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ছয়টি সংঘটিত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ১০৩টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৯৮টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১০৯টি পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৩৮টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৯টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ ১০ কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে বলছে প্রতিষ্ঠান টি।
সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে সংস্থাটি ১০টি সুপারিশ দিয়েছে। বলা হচ্ছে, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে; চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে।
সেরা টিভি/মামুন