ডেস্ক রিপোর্ট:
উপমহাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে ক্যান্সারের চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই কিংবদন্তি ঔপন্যাসিক। হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন একাধারে কথাসাহিত্যিক, গল্পকার, গীতিকার, নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বাংলা সাহিত্যে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর জনকও।
হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে। উপন্যাসটি প্রকাশের পরই সাড়া জাগায়। তিনি ১৯৯৪ সালে ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন।
তার সৃষ্ট উপন্যাসে হিমু, মিসির আলির মতো অসংখ্য জনপ্রিয় চরিত্র তৈরি করে এখনও তিনি বেঁচে আছেন কোটি পাঠকের মনে। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর ডাকনাম কাজল।
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে কোরআন খতম আর এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করবে তাঁর পরিবার। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলসহ নানা আয়োজনে প্রয়াত এ সাহিত্যিককে স্মরণ করবে। এ ছাড়া বিভিন্ন টেলিভিশনে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে।
প্রতি বছরের মতো নেত্রকোনায় এবারো ড. হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণ দিবসে ‘স্মরণ কথন’ আয়োজন করেছে হিমু পাঠক আড্ডা। প্রিয় লেখকের জন্মস্থান নিজ জেলায় হুমায়ূন ভক্তরা লেখকের প্রয়াণের দিন থেকেই স্মরণ করে যাচ্ছে প্রতিবছর। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের ছাদে সকালে সাড়ে ১০টায় কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে। পরে ১১টায় লেখকের জীবনী নিয়ে আলোকপাত করবেন বক্তারা।
সেরা টিভি/মামুন