চবি প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় করা মামলায় ৪ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। চারজন হলেন মেহেদী হাসান ওরফে হৃদয়, আজিম হুসেন, বাবু ও বহিরাগত শাওন। তাঁদের মধ্যে মেহেদী ও আজিম ছাত্রলীগের কর্মী। মেহেদী ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ ও আজিম ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল রাতে রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে র্যাব।
তাদেরকে রোববারের মধ্যে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য শিরীণ আখতার।
আজ শনিবার বেলা পৌনে দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪তম বার্ষিক সিনেট সভায় উপাচার্য এ ঘোষণা দিয়েছেন।
সভায় শিরীণ আখতার বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে র্যাব। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিনজন। এটা খুব লজ্জার সঙ্গে বলতে হচ্ছে। তাঁদের আজ অথবা আগামীকালের মধ্যেই বহিষ্কার করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত এ ঘটনার খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি বিশেষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাঠিয়েছেন। যৌন নির্যাতনের ঘটনার মূলহোতা আজিমসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। জিজ্ঞাসাবাদে আজিম ওই ছাত্রীকে নিপীড়নের কথা স্বীকার করেছেন।
ব্রিফিংয়ে চাঁদগাঁও ক্যাম্প র্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেছেন, নির্যাতনের ঘটনাটি ‘ইনস্ট্যাট’ ঘটেছে বলে দাবি করেছেন আজিম। কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে তিনজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী। বাকি দুইজন বহিরাগত ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বুধবার থেকেই উত্তাল হয়ে পড়ে ক্যাম্পাস। রাতেই ছাত্রীরা হল থেকে বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। ওই দিন রাত একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে চার কার্যদিবসের মধ্যে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দেন। অন্যথায় প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করবে বলে জানান তিনি। শিক্ষার্থীরা চার কার্যদিবসের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে প্রতিবাদী গানের আয়োজন করেছেন।
সেরা টিভি/মামুন