ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন না। তবে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিলেন, খুশি নন তিনি। মনে অসন্তোষ চেপে না রেখে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় অভিযোগের সুর।
তিনি বলছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির উচিত ছিল; অন্তত আমার সঙ্গে একবার আলোচনা করে নেয়া।
নবান্নে রাজ্যের ক্রীড়া সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি ও ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা। এর মাঝেই বিসিসিআই’র সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ভারতেও ব্যতিক্রম হয়নি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে যাবতীয় খেলাধুলার ইভেন্ট আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে।
স্টেডিয়ামে দর্শক সমাগমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। ফলে বিসিসিআই প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়,ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ ফাঁকা গ্যালারিতে অয়োজন করা হবে। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে হওয়ার কথা ছিল ঐতিহ্যবাহী ইডেন গার্ডেনে।
এমন সংকটজনক অবস্থায় কলকাতায় ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বোর্ড। তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেনি তারা। এখানেই বেঁধেছে যত বিপত্তি-আপত্তি।
অবশ্য এ বিষয়ে মুখ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি)সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া।
এতদসত্ত্বেও বিসিসিআই’র প্রতি নিজের আস্থা বজায় রাখছেন মমতা। তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে একবার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে পারত বোর্ড।
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার পরিকাঠামো ভারতীয় বোর্ডের আছে। তাই এ পরিস্থিতিতে এখানে খেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তাদের একবার আলোচনা করা উচিত ছিল।
তার ভাষ্যমতে, সৌরভদের সব ঠিক আছে। তবে আমাদের সঙ্গে একটু কথা বলে নেয়া উচিত ছিল। এটি অন্য কোনো বিষয় নয়। খেলাটা হচ্ছে কলকাতায়। সেখানকার পুলিশকে অন্তত জানানো দরকার ছিল। বোর্ডের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলছি, এ অবস্থায় কলকাতায় ম্যাচ হবে। অথচ পুলিশ কমিশনার, মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব অথবা সরকারের কেউ জানবে না, তা হয়?
মমতা বলেন, আমরা ম্যাচ বন্ধ করতে বলছি না। শুধু আর্জি জানাচ্ছি, আপনারা সিদ্ধান্ত নেয়ার পর আমাদের জানাবেন। এরপর আমরা যদি না বলি, তখন কথা হবে। খেলাটা কেবল খেলোয়াড়দের জন্য নয়। দর্শকদের যদি কিছু হয়, তখন কে দেখবে? সুতরাং আমার মনে হয়, এ প্রসঙ্গে আগে থেকে একটু কথা বলে নেয়া উচিত ছিল।
কার্যত বিসিসিআই’র দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে টনকও নড়ে ভারতীয় বোর্ডের। দ্রুত সিরিজ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। ফলে ইডেন ম্যাচ নিয়ে দু:শ্চিন্তার কারণ রইল না মমতার।
তথ্যসূত্র: কলকাতা২৪।
সেরা নিউজ/আকিব