সেরা নিউজ ডেস্ক:
করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১৫০০০ সার্জিকাল মাস্ক এন-৯৫, ১০০০০ মানুষকে পরীক্ষার কিট, ১০০০০ চিকিৎসক ও নার্সের সুরক্ষায় গাউন এবং ১০০০ ইনফ্রারেড থার্মোমিটার সহায়তা দিচ্ছে চীন। এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি নোট ভারবাল পাঠিয়ে চিকিৎসা সরঞ্জামাদির সংরক্ষণ এবং পরিবহনে যথাযথ তাপমাত্রা নিশ্চিতে অনুরোধ করেছে দেশটি। চীন জানিয়েছে, ওই সরঞ্জামাদি ঢাকা পর্যন্ত তারা নিজ খরচে পৌঁছে দেবে। তবে, কাস্টমস
ক্লিয়ারেন্স এবং বিমান বন্দর থেকে যথাযথ স্থানে পৌঁছানো (গোডাউন) ও বিতরণে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (যথাযথ তাপমাত্রার) বিশেষায়িত পরিবহন বাংলাদেশকেই নিশ্চিত করতে হবে। ওই চিকিৎসা সরঞ্জামাদির মান নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশকে আগাম প্রস্তুতির বার্তা পাঠানো সংক্রান্ত নোট ভারবালে ঢাকাস্থ চীন দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার (ফোকাল পয়েন্ট) বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।
বেইজিং তার বার্তার সমাপনিতে বলেছে, বাংলাদেশের মানুষের এই দুর্দিনে পাশে দাড়িয়ে বন্ধুত্বের পরীক্ষা দিতে সক্ষম হবে চীন। এ জন্য ঢাকাস্থ চীন দূতাবাস নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাবে।
গত মঙ্গলবার করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো সংক্রান্ত ওই বার্তা পাঠায় চীন। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, এরইমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সমপর্ক বিভাগের সঙ্গে এ নিয়ে একটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করেছে বেইজিং।
এ সমঝোতা অনুযায়ী, বাংলাদেশকে করোনা মোকাবেলায় চিকিৎসা সরঞ্জাম সহায়তা দিচ্ছে চীন। উল্লেখ্য, বুধবার ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ১৭ই মার্চ চীনা দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে করোনার টেস্ট কিট সরবরাহের বিষয়টি অবহিত করেছে। চীন জানিয়েছে যে, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশকে ব্যাপক সংখ্যক মহামারি প্রতিরোধী চিকিৎসা সরঞ্জাম ও করোনা ভাইরাস শনাক্তের কীট প্রদান করবে। যাতে বাংলাদেশের মানুষ চীনকে তাদের বন্ধু ভাবতে পারে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মহামারি দমনে চীন সবসময় বাংলাদেশের সবথেকে বিশ্বস্থ বন্ধু হিসেবে পাশে থাকবে।
সেরা নিউজ/আকিব