অনলাইন ডেস্ক:
প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্বজুড়ে যেন শুধুই প্রাণ বাঁচানোর আকুতি; তবুও এর মধ্যে কিছুটা আশা জাগাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
করোনা প্রতিরোধে ২০টি ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে এই মুহূর্তে; এতে গবেষকদের সঙ্গে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে এই ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসতে অন্তত ১৮ মাস অপেক্ষা করতে হবে।
করোনার জিন সিকোয়েন্স তৈরির মাত্র ৬০ দিনের মাথায় এসব ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে বলে সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনবিসি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার জরুরি কর্মসূচির টেকনিক্যাল লিড মারিয়া ভ্যান কেরখোভে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের প্রক্রিয়া খুব দ্রুত ও নাটকীয়ভাবে এগোচ্ছে। সামথ্যের চেয়েও দ্রুত গতিতে এগোতে পারছি আমরা।
তিনি বলেন, সার্স ও মার্স যখন ছড়িয়েছিল তখন থেকেই কাজ শুরু হয়; এখন করোনাভাইরাসের জন্য এই ভ্যাকসিন তৈরি হবে। তবে জনসাধারণের ব্যবহারের উপযোগী ওষুধ তৈরি হতে আরও অনেকটা পথ পারি দিতে হবে বলেও সতর্ক করেন স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা।
পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ও নিরাপত্তামূলক অনুমোদন শেষে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য কার্যকরী ভ্যাকসিন বাজারে আসতে ১৮ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে জানান শীর্ষ বিজ্ঞানীরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক মাইক রায়ান বলছেন, পরীক্ষামূলক প্রয়োগের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। একটি খারাপ ভাইরাসের তুলনায় একটি খারাপ ভ্যাকসিন বেশি ভয়ঙ্কর।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বের মানুষের ওপর যে ওষুধ প্রয়োগ করা হবে তার ব্যাপারে আমাদের খুব খুব খুবই সতর্ক হতে হবে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে একজন নারীর ওপর ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করার তথ্য উল্লেখ করে সংস্থাটির এই কর্মকর্তা বলেন, অবিশ্বাস্য গতিতে কাজ এগিয়ে চলছে।
চীন এবং অন্যান্য দেশ যদি কোভিড-১৯-এর জিনেটিক সিকোয়েন্স অন্যান্য দেশকে না জানাত তবে এই কার্যক্রম কখনও সম্ভব ছিল না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়ে; এরপর তা ছড়িয়ে পড়েছে সারাবিশ্বে। এতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজারের বেশি মানুষের; আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার।
সেরা নিউজ/আকিব