অনলাইন ডেস্ক:
আমার উদ্ভাবন, আমার স্বপ্ন- এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ শীর্ষক প্রকল্প বা ‘আইডিয়া প্রকল্প’ এর উদ্যোগে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশের অগ্রগতি এবং উন্নয়নে অবদান রাখতে যাদের উদ্ভাবনী পরিকল্পনা আছে এমন তরুণ উদ্যোক্তা খুঁজে বের করা এবং তাদের উদ্যোগগুলোর সঠিক বাস্তবায়নের জন্য ফান্ডিং করাই হলো এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
দেশের ৮টি বিভাগের ২৫টি ভেন্যুতে অংশগ্রহণকারী স্টার্টআপদের ক্যাম্পাস পিচিং এর মাধ্যমে অঞ্চলসমূহের প্রাথমিক বাছাই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৬টি বিভাগের ২২টি ভেন্যুতে বাছাইপর্ব সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার রাজধানীতে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস পিচিং আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ঢাকা বিভাগের প্রাথমিক বাছাই কার্যক্রম।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ২৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় (গাজীপুর), ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা) এবং ৩০ সেপ্টেম্বর মাওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল) ভেন্যুতে ঢাকা বিভাগের প্রাথমিক বাছাই আয়োজিত হয়।
আজ ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এ আয়োজিত ক্যাম্পাস পিচিং-এ প্রায় ৩৪৫টি স্টার্টআপ অংশগ্রহণ করে যেখানে উপস্থিত হয় প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী। স্টার্টআপগুলো তাদের বিজনেস আইডিয়া বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করে। বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের ফাউন্ডার আরিফুল হাসান অপু, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সিনিয়র লেকচারার শারমিনা জামান, আইডিয়া প্রকল্পের ডেভেলপমেন্ট ও কমার্শিয়ালাইজেশন বিষয়ক পরামর্শক দেওয়ান আদনান ও প্রকল্পের রিসার্স অফিসার আশিকুর ইসলাম। ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ বিষয়ক একটি ওয়ার্কশপের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী স্টার্টআপদের নিয়ে সকালে ক্যাম্পাস পিচিং শুরু হয়। এছাড়া এই আয়োজনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর মিলান পাগন এবং স্কুল অব বিজনেস এর ডিন প্রফেসর মো. আমিনুল করিমসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, সিআরআই এর প্রতিনিধি এবং ইয়াং বাংলার ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর ও তার দল।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতার সর্বশেষ ২৫তম ভেন্যু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাচাইয়ের সকল কার্যক্রম শেষ হবে।
উল্লেখ্য যে, সারাদেশে ২৫টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতা থেকে ৭৫টি প্রকল্প বাছাই করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত স্টার্টআপদের ৩দিনের ‘জাতীয় স্টার্টআপ ক্যাম্প’- এ ‘আইডিয়া’ প্রকল্পের বাছাই কমিটি এবং অভিজ্ঞ বিচারকগণের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে জাতীয় পর্যায়ে সেরা ১০ উদ্ভাবনী ভাবনা বা স্টার্টআপ। বিজয়ী ১০টি স্টার্টআপের প্রতিটিকে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হবে। সেই সঙ্গে শীর্ষ ৩০-এ থাকা অপর ২০ স্টার্টআপও রানারআপ হিসেবে আইডিয়া প্রকল্প থেকে গ্রুমিং ও বিশেষ প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ পাবে। প্রশিক্ষণ শেষে স্টার্টআপগুলো প্রস্তুত হলে তাদের জন্যও অনুদান প্রদান করবে আইডিয়া প্রকল্প।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর, ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্বের উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় সহ যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ১-৩ সদস্য বিশিষ্ট গঠিত টিম নিয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় এই প্রতিযোগিতায়। উদ্ভাবনী ভাবনা ও উদ্যোক্তা খোঁজার এই আয়োজনের সহযোগিতায় আছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর ‘ইয়াং বাংলা’ প্ল্যাটফর্ম।