ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
যুক্তরাজ্য সরকারের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী গতকাল শনিবার (২১ মার্চ) পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৩৩ জন। আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ১৮ জন।
দেশটির সরকার বলছে, এভাবে লাশের সারি বাড়তে থাকলে কবরের জায়গা সংকট দেখা দেবে এবং দাফনের ক্ষেত্রে মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করা সম্ভব হবে না। তাই জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে করোনায় মৃতদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা হবে।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনে প্রায় সাত কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ইসলাম ধর্ম পালন করেন।
মুসলিম এনগেইজমেন্ট অ্যান্ড ডেভোলাপমেন্ট নামের একটি সংস্থার ওয়েবসাইটে শনিবার সকালে এই তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, সরকার ‘ইমার্জেন্সি করোনাভাইরাস বিল ২০১৯-২১’ নামে পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপন করেছে। এই বিলের খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। এরইমধ্যে বিলটি নিয়ে সংসদে এক দফা আলোচনা হয়েছে। আগামী ২৩ মার্চ সোমবার তা পাসের লক্ষ্যে আবারো পার্লামেন্টে তোলা হবে।
বিলটি পাস হয়ে গেলে বর্তমানে ব্রটেনের বহু ধর্মের মানুষের অন্ত্যষ্টিক্রিয়ার যে অধিকার রয়েছে তা খর্ব হবে। স্থানীয় কাউন্সিল যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে দাফন করতে পারবে। কাউন্সিল চাইলে ধর্মমতে দাফনের অনুমতি দেবে, নতুবা মরদেহ পুড়িয়ে ফেলতে পারবে।
বর্তমান ‘পাবলিক হেলথ ১৯৮৪ ধারা ৪৪ (৩)’ আইনে মুসলমানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের তাদের নিজ নিজ ধর্মমতে লাশ দাফনের অধিকার দেওয়া আছে। ফলে স্থানীয় কাউন্সিল চাইলেই কারো মরদেহ পুড়িয়ে ফেলতে পারে না। তাই পার্লামেন্ট চাচ্ছে এই আইনকে পরিবর্তন করতে। আইন পাস হয়ে গেলে ধর্মীয় নিয়মে লাশ দাফনের কোনো সুযোগ থাকবে না। তাই বিলটি পাস করার আগে তাতে মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে এমপিরা ভূমিকা রাখতে পারেন। সেই লক্ষ্যে ক্যাম্পেইন চলছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের কাছে চিঠি লিখছেন, অনলাইনে স্বাক্ষর সংগ্রহের অভিযান ও শুরু হয়েছে। বিলটি যাতে আইনে পরিণত না হতে পারে। নির্দিষ্ট ধর্মীয় মতে যাতে শেষকৃত্য করা যায়। কারণ হিউম্যান রাইট আইন ১৯৯৮ অনুসারে মানুষের ধর্মীয় অধিকার উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই।
এ পর্যন্ত তিন বাংলাদেশি করোনা সংক্রমনে মারা গেছেন। এরইমধ্যে দুজনের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী। একজনের লাশ এখনো দাফনের জন্য অপেক্ষমান।
সেরা নিউজ/আকিব