সেরা নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার সুচিন্তিত নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কেই শুধু উঠেনি, একইসাথে গণতান্ত্রিক বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলেও পরিণত হয়েছে। জাতিরজনকের স্বপ্নের পথে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। বাঙালিকে বিশ্বে মর্যাদার আসনেও অধিষ্ঠিত করেছেন শেখ হাসিনা। বলা যেতে পারে যে, শেখ হাসিনা হচ্ছেন বাঙালি জাতির জন্যে বড় একটি আশির্বাদ।
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ভার্জিনিয়ার শেরাটন টাইসন হোটেলের বলরুমে বৃহত্তর ওয়াশিংটন বাংলাদেশ কমিউনিটির সাথে ২ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় এক মতবিনিময় সভায় ফারুক খান আরো বলেছেন, ‘উন্নয়নে প্রত্যাশী প্রতিটি প্রবাসীর উচিত হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকা। কারণ, উন্নয়নের ছোঁয়া দলমত নির্বিশেষে সকলেই পাচ্ছেন।’
জাতিসংঘে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গি ছিলেন ফারুক খান। সেখান থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে এসেছেন দলীয় নেতা-কর্মী এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে মতবিনিময় করতে। এতে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মনসুর এবং সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিক শিব্বির আহমেদ।
ফারুক খান বলেন, গণতন্ত্র এবং সুশাসনের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান, তারা যে দলেরই হউক শেখ হাসিনার নির্দেশে চলমান অভিযানে শাস্তি পাবেই। এটা সকলকে স্মরণ রাখতে হবে যে, এই অভিযান নতুন কিছু নয়। এটি চলমান একটি প্রক্রিয়া।
ফারুক খান বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর মত বড়মাপের একজন মুক্তিযোদ্ধা-সংগঠক, প্রেসিডিয়াম মেম্বারকেও শেখ হাসিনা ছাড় দেননি (উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে নিউইয়র্কে টাঙ্গাইলবাসির সাথে ঘরোয়া আলোচনাকালে তিনি কিছু কথা বলেছিলেন যা দেশ, জাতি এবং দলের বিপক্ষে গিয়েছিল এবং সেই কথাগুলো ভিডিওতে ধারণ করেছিলেন সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী শাহানারা রহমান। সেই ভিডিও কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি সরবরাহ করেছিলেন জ্যাকসন হাইটসে জামাতি সিন্ডিকেটের গণমাধ্যমে)। তাই কেউ যদি অসাংগঠনিক কিংবা দল ও জাতির জন্যে ক্ষতিকর কিছু করেন, তাহলে তার পরিণতি তাকে ভোগ করতেই হবে। এই সময়ে বেশ ক’জন এমপির বিরুদ্ধে দূদকে তদন্ত চলছে। একজন কারাগারেও রয়েছেন।
ফারুক খান প্রবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে বলেন, ১০ বছর পর্যন্ত ট্যাক্স রিবেট পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে। বিনিয়োগে আগ্রহীদেরকে ওয়ানস্টপ সার্ভিস দেয়া হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সবাই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আগামী কমিটি ওয়াশিংটন থেকে নির্বাচন করার জন্য ফারুক খানের প্রতি অনুরোধ জানান। বিশেষ করে ড. খন্দকার মনসুরকে সভাপতি নির্বাচিত করার জোর দাবী জানানো হয়। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দের কিছু প্রশ্নেরও জবাব দেন ফারুক খান। এতে অংশ নেন শিব্বির আহমেদ, সাদেক খান, নূরল আমিন, দেওয়ান আরশাদ আলী বিজয়,
আবুল হোসেন শিকদার, হারুন চৌধুরী, আমর ইসলাম, আবুল কালাম আযাদ, আবু বকর, হাসনাত সানী, জাহিদ হোসেন, আনওয়ারুল আজিম, আইরিন পারভিন, মোহাম্মদ আলমগীর প্রমুখ। এ মতবিনিময় সভার আয়োজণে অন্যতম ছিলেন শেখ সেলিম ও জি আই রাসেল।