বিনোদন ডেস্ক:
চলচ্চিত্রের মন্দলোক হিসেবে পরিচিত আশরাফুল হক ডন। দর্শকরা যাকে খলনায়ক ডন হিসেবেই চেনেন। অথচ এই চলচ্চিত্রে খলনায়ক হওয়ার আগে মসজিদে আযান দিতেন তিনি। মসজিদের মুয়াজ্জিনের ভুমিকা পালন করতেন। ডন নিজেই জানালেন এ তথ্য।
সিনেমায় যে ডনকে সবাই চিনেন বাস্তবের ডন আসলে একবারেই আলাদা। খুবই আড্ডা প্রিয়। যার মধ্যে সিনেমার অভিনেতার কোন বালাই নেই। অভিনেতার বাইরে আমি একজন সাধারণ মানুষ। সিনেমা শুরুর আগে এলাকার মসজিদে নিয়মিত আজান দিতাম আমি। বলেতে পারেন মুয়াজ্জিন ছিলাম আমি। নামাজই নিয়মিত পড়তাম।
বগুড়ায় জন্ম ডনের। বাবা প্রয়াত হলেও মা বসবাস করছেন আমেরিকায়। দশ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট ডন। ১৯৭১ সালে জন্ম নেয়া ডন বগুড়া ছেড়ে ঢাকায় আসার পরই পরিচিত হয় পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের সঙ্গে। তিনিই প্রথম তাকে চলচ্চিত্রে সুযোগ দেন। ছবির নাম ‘লাভ’। কিন্তু ডনের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। তখন থেকেই চলচ্চিত্র তার ধ্যান-জ্ঞান হয়ে যায়।
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে অভিনয়ের সুবাধেই পরিচিত হয় প্রয়াত নায়ক সালমান শাহর সঙ্গে। শুরু হয় তাদের বন্ধুত্বও। চলচ্চিত্র ইন্ডাষ্ট্রিতে ডন সালমান শাহর সবচেয়ে কাছের বন্ধু্টিই ছিলেন। ডনের সঙ্গে গল্প নিয়ে বসলে কোন না কোনভাবে সেখানে সালমান শাহকে নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করবেনই তিনি।
সালমান শাহ অভিনীত ২৭টি ছবির মধ্যে ২৪ টিতেই খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন ডন। তার অভিনীত হিট ছবির তালিকায় রয়েছে ‘এ জীবন তোমার আমার, বিক্ষোভ, ভালোবাসার মূল্য কত, তোমাকে চাই, ফুলের মতো বউ, বিয়ের ফুল, জীবন সংসার, ভালোবাসা কারে কয়, মহামিলন, মিলন হবে কত দিনে‘র মতো ছবি।
ডন অভিনীত ছবির সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬শ’ । চলচ্চিত্র ছাড়াও বেশ কয়েকটি টিভি নাটকেও অভিনয় করেন তিনি। কৌশিক হোসেন তাপস পরিচালিত ‘কত ভালোবাসি তোমাকে’ টেলিফিল্মে নায়িকা জনার বিপরীতে নায়কও চিলেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি ‘এক জনমের ভালোবাসা’ নামে একটি চলচ্চিত্রও প্রযোজনা করেন।
গড়ে তুলেছেন ব্যান্ড দল ‘আর্কাইভ’। জড়িত আছেন নানা রকম সামাজিক কর্মকাণ্ডে। এক সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
সেরা নিউজ/আকিব