অনলাইন ডেস্ক:
ধর্ষকের মায়ের বড় গলা। ধর্ষিতাকে বললেন, ছেলে নয়, ছেলের বাবা তোকে বিয়ে করবে। ইতোমধ্যে ছেলের ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় ধর্ষকের পরিবার বিষয়টি মিমাংসা করতে স্থানীয় প্রভাবশালীদের আশ্রয় নিয়েছেন।
অপরদিকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ছেলের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে গেলে ধর্ষকের মা তাকে গালমন্দ দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আর তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন, ছেলে নয়, ছেলের বাবা তোকে বিয়ে করবে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নীলফামারী লকডাউনের মধ্যেও এমন ঘটনাটি ঘটেছে জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের কালকেউট গ্রামে।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) করা অভিযোগে জানা যায়, ওই গ্রামের এক দিনমজুরের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান ওরফে সুদারু হাবিবের ছেলে কলেজছাত্র ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, ধর্ষকের পরিবারের পক্ষ নিয়ে প্রভাবশালীরা এক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মেয়েটির পরিবারকে মিমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। অসহায় পরিবারটি থানায় অভিযোগ করতে চাইলে স্থানীয় মাতব্বররা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
ধর্ষিতা মেয়েটি অভিযোগ করে জানায়, প্রতিবেশী কলেজছাত্র জয় তার সঙ্গে এক বছর থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই থেকে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক মেলামেশা করে। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনাটি প্রেমিক জয়কে জানালে সে তাকে বাচ্চা নষ্ট করার জন্য চাপ দেয়।
মেয়েটি জানায়, আমি কয়েকদিন আগে ছেলের বাড়িতে যাই। তার বাবা-মাকে সব কথা খুলে বলি। এ সময় জয়ের মা আমাকে গালমন্দ করে বলে, ছেলে নয়, ছেলের বাবা তোকে বিয়ে করবে। এক পর্যায়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি টাকা চাই না, আমার পেটের বাচ্চার বাবার পরিচয় চাই।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা মর্জিনা খাতুন বলেন, আমরা গরিব বলে বিচার পাবো না।
এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান হুকুম আলী জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। মীরগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ওসি (তদন্ত) আব্দুর রহিম বলেন, এ ঘটনায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সেরা নিউজ/আকিব