বিনোদন ডেস্ক:
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের সিউড়ির প্রবীণ দুঃস্থ শিল্পী ও গীতিকার রতন কাহারের একটি জনপ্রিয় গান নিয়ে মুম্বইয়ের র্যাপার বাদশা ‘গেন্দাফুল’ নামে মিউজিক ভিডিও তৈরি করেছেন। কিন্তু তিনি গীতিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেন নি রতনকে। আর এটা নিয়েই প্রবল বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। এই মুহূর্তে চার্ট বাস্টার বাদশার ‘গেন্দাফুল’। ৩১শে মার্চ এ গান এবং রতন কাহার প্রসঙ্গে বাদশা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে বলেছেন, আমি ওই গান রচয়িতার নাম খোঁজার চেষ্টা করেছি। কিন্তু খুঁজে পাইনি। ২৬শে মার্চ আমি জেনেছি রতন কাহারের নাম। আমি জানি উনি একজন মহান শিল্পী।
শুনেছি তার অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো নয়। আমি তাকে সম্মান দিয়ে সাহায্য করতে চাই। অবশেষে গত সোমবার বাদশা রতনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঁচ লাখ রুপি দিয়েছেন সাম্মানিক হিসেবে।
বাদশার টিমের অন্যতম সদস্য দীপঙ্কর রায় বলেছেন, মুম্বইয়ের সেরা গীতিকারদের যে সাম্মানিক দেওয়া হয়, আমরা তা দিতে পেরে খুশি। বাদশা প্রসঙ্গে শিল্পী রতন কাহার বলেছেন, শিল্পীসুলভ মানসিকতা দেখিয়েছেন বাদশা। আমি নিমন্ত্রণ করায় আমাকে বলেছেন, এখানে এসে একসঙ্গে গান করবেন। আমি আমার লেখা গান উপহার দেবো তাকে। রুপির প্রসঙ্গে অশীতপর শিল্পী বলেছেন, আমার গানতো এতদিন নামহারা ছিল। এত দিনে বোধ হয় নাম পাবে। এটাই বড় কথা। আমি এখন শুকনো পাতা, কখন যাবো ঝরে। উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে আকাশবাণীতে নিজের লেখা ‘বড়লোকের বিটি লো’ রেকর্ড করেছিলেন রতন কাহার। পরে সেই গান গেয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন শিল্পী স্বপ্না চক্রবর্তী।
সেরা নিউজ/আকিব