স্পোর্টস ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে জারি থাকা লকডাউন অমান্য করে পরিবার নিয়ে সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে গেছেন নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডেভিড ক্লার্ক। এজন্য নিজেকে ‘আহাম্মক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ স্পষ্টতই লকডাউন নীতিমালার লঙ্ঘন। এ ঘটনায় তিনি প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের কাছে পদত্যাগপত্রও জমা দিয়েছেন। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি আরডার্ন। ক্লার্ক জানিয়েছেন, তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন। তবে মন্ত্রীপরিষদের র্যাংকিংয়ে তার অবনতি হয়েছে। একইসঙ্গে সহকারী অর্থমন্ত্রী হিসেবে পদ হারিয়েছেন তিনি।
এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, গত ২৫শে মার্চ থেকে নিউজিল্যান্ডে জারি হয়েছে সর্বোচ্চ পর্যায়ের লকডাউন। কিন্তু লকডাউনের প্রথম সপ্তাহেই নিজের পরিবারকে সাথে নিয়ে ১২ মাইল গাড়ি চালিয়ে সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে যান ক্লার্ক।
গত সপ্তাহে গড়ি চালিয়ে পাহাড়ে ঘুরতে যান তিনি। তার ওই ঘোরাঘুরির ছবি প্রকাশিত হলে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি। এরপর প্রধানমন্ত্রী আরডার্নের কাছে সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের কথা স্বীকার করেন তিনি।
ক্লার্ক জানান, তিনি নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন। বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব কেবল নিয়ম মানাই নয়, নিউজিল্যান্ডবাসীর জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনও। আমরা যখন নিউজিল্যান্ডবাসীকে ঐতিহাসিক ত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি, আমি তখন তাদের হতাশ করেছি। আমি আহাম্মকের মতো কাজ করেছি ও বুঝতে পারছি যে, জনগণ আমার উপর ক্ষুব্ধ থাকবে।
ক্লার্কের লকডাউন অমান্য নিয়ে আরডার্ন বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ক্লার্ককে বরখাস্ত করা হতো। তবে এই অবস্থায় স্বাস্থ্যখাতে বড় ধরনের অন্তরায় সৃষ্টি সম্ভব নয়। কেবল একারণেই ড. ক্লার্ক তার ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবেন। কিন্তু তাকে মূল্য দিতে হবে। তিনি নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন।
আরডার্ন জানান, ক্লার্ক স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন। তবে তাকে সহকারী অর্থমন্ত্রী হিসেবে বরখাস্ত করা হয়েছে ও মন্ত্রীপরিষদের র্যাংকিংয়ে তাকে নিচে নামিয়ে দেয়া হয়েছে।
সেরা নিউজ/আকিব