ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনা ভাইরাস মহামারিতে লকডাউন চলছে। সবাই ঘরের ভিতর। আইসোলেশনে। ফলে স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকা বা পার্টনারের সঙ্গে অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই শরীরের নেশায় বুঁদ হয়ে যাচ্ছেন ডেনমার্কের কিছু মানুষ। এ কারণে সেখানে সেক্সটয়ের বিক্রি বেড়েছে হু হু করে। এসব পণ্য বিক্রিয়কারী সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বলছে, তারা সেক্সটয় সরবরাহ দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। দ্বিগুন হয়েছে এসবের চাহিদা।
এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেখানে সেক্সটয়ের সবচেয়ে বড় বিক্রয়কারী সংস্থার সহ-মালিক মাথিলডে ম্যাকোউস্কি বলেছেন, এই কঠিন সময়ে আমরা ভাল কিছু করছি। এ জন্য আমার কাছে ভাল লাগে। মানুষ যখন বিপন্ন, ঝুঁকির মুখে, তখন ঘরে থেকে যদি যৌনজীবনকে উপভোগ করা যায়, তাতে মন্দ কি! এ সময়ের ভালবাসাকে তাই ইংরেজিতে নাম দেয়া হয়েছে ‘লাভ লকডাউন’।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ডেনমার্কে তার প্রতিষ্ঠানের সেক্সটয় বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ১১০ ভাগ। মোট বাজারের এটা চার ভাগের তিন ভাগ। সেক্সটয় বিক্রির ওপর পর্যবেক্ষণ চালায় দেশটির একটি ওয়েবসাইট। তারা বলেছে, গত বছর এ সময়ের তুলনায় এই লকডাউনে সেক্সটয়ের চাহিদা তিনগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে দম্পতিদের মধ্যে সেক্স গেম এবং এ সংক্রান্ত টয়-এর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক বেশি। মধ্য মার্চের পর থেকে সেখানে এমন দম্পতিদের কাছে সেক্স বা যৌনতা সংক্রান্ত পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে চার গুণেরও বেশি।
মাথিলডে ম্যাকোউস্কি বলেন, আমি বিষয়টিকে প্রকৃতিগত বলে মনে করি। কারণ, যখন একজন নারী ও একজন পুরুষ একসঙ্গে, একান্তে সময় কাটান তখন তাদের মধ্যে কিছু ব্যতিক্রমী মজার আইডিয়া কাজ করে। তারা যৌনজীবনকে অন্যরকমভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করেন। এতে দোষের কিছু নেই। বরং, এর মধ্য দিয়ে একজন আরেকজনের আরো ঘনিষ্ঠ হওয়া যায়। একজন আরেকজনের অনেক বেশি যত্ন নেয়া যায়। এ বিষয়টি আমাদের যৌনজীবনে প্রতিফলিত হয়।
খুচরা বিক্রেতারা তাই প্রতিদিন ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে অনলাইন কাস্টমারদের কাছে কমপক্ষে ১৫০০ প্যাকেজ সেক্সটয় পাঠান। এ অঞ্চলে গত বছরের তুলনায় এ বছর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সেক্সটয় বিক্রি দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। শারীরিক সম্পর্ক বা ঘনিষ্ঠতার জন্য ডেনমার্কের আলাদা পরিচিতি আছে। এর কারণ, বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষদের বসবাস সেখানে। ফলে তারা ভালবাসা বিনিময়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় পান। মানসিকতাও থাকে ফুরফুরে। এ ছাড়া ১৯৬৯ সাল থেকে সেখানে পর্নোগ্রাফি আইনগতভাবে বৈধ। ইউরোপের বহু দেশে এমন বৈধতা দেয়ার অনেক আগেই তারা এই বৈধতা দিয়েছে।
সেরা নিউজ/আকিব