অনলাইন ডেস্ক:
এ হলো আধুনিককালের রোমিও-জুলিয়েটের গল্প। একদিকে সারাবিশ্ব, পরিপার্শ্বিক অবস্থা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত, ত্রস্ত। অন্যদিকে কেউ কেউ চুটিয়ে প্রেমপর্ব সেরে ফেলছেন। এমনই এক জুটি ইতালির মিশেলে ডি’আলপাওস (৩৮) এবং পলা অ্যাগনেলি (৩৯)। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ টায় সঙ্গীতের সুরে সুরে জেগে ওঠেন তারা। দু’জনে কিন্তু প্রতিবেশী। গানের সুরে এসে দাঁড়ান ব্যালকনিতে। চোখে চোখ পড়ে যায়।
অমনি ভালবাসা। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’ অর্থাৎ প্রথম দর্শনেই প্রেম। কাহিনীটি ইতালির ভেরোনা শহরের।
ওই শহরে নিজেদের বাড়িতে গান গাইতেন মিস অ্যাগনেলির বোন। তিনি একজন পেশাদার ভায়োলিন বাদক। বসবাস করেন অ্যাগনেলির সঙ্গে।
লকডাউনের এ সময়ে তিনি প্লে করেন ‘কুইনস উই আর দ্য চ্যাম্পিয়নস’। তা লুফে নেন প্রতিবেশীরা। তারা ভূয়সী প্রশংসা করেন এর। কিন্তু তলে তলে যে ঘটে গেছে অন্য খবর তা জানতেন শুধু পাত্র আর পাত্রী। এ নিয়ে বিবিসি রেডিও ৪-এর টুডে প্রোগ্রামে পলা বলেছেন, আমার বোন ব্যালকনিতে তার ভায়োলিন বাজাচ্ছিল। তা দেখতে সেখানে যাই। দেখতে পাই ঠিক বিপরীত পাশের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে মিশেলে। ভেবেছিলাম সে আমার কোনো এক বন্ধুর ভাই।
তাকে দেখে আমি বলেই বসলাম- কি হ্যান্ডসাম পুরুষ! আমার বোনের গানটা শেষ হয়ে গেল। ইন্সটাগ্রামে একটি ম্যাসেজ পেলাম। পাঠিয়েছে মিশেলে। এতে সে লিখেছে, ‘আমি একটা বই লিখতে চাই। যার নাম হবে ‘লাভ ইন দ্য টাইম অব করোনাভাইরাস’। এ রাতেই আমরা একে অন্যকে একের পর এক ভালবাসার কথা বিনিময় করতে থাকি। এমনটা চলতে থাকে ভোর রাত অবধি। আমরা বুঝতে পারি, দু’জনেই একই মূল্যবোধ পোষণ করি। একটি দৃঢ় বন্ধনের জন্য এটা একটা নির্ভেজাল জিনিস। ব্যাস শুরু হয়ে যায় ভালবাসা।
সেরা নিউজ/আকিব