তাহমিম আল আশিক:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার ৯ ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে ।
বুয়েটের শেরেবাংলা হলে মারধর করে ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে সিঁড়ী তে ফেলে যায় । সোমবার তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে । সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো সহ দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন ও বিক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন , ‘বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় শনাক্ত ৯ জনকে আটক করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পেয়েছি। সেটা পর্যালোচনা করছি।’
আটকরা হলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ, সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু, উপ-দফতর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, ক্রীড়া সম্পাদক সেফায়েতুল ইসলাম জিওন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না।
গোয়েন্দা সংস্থার বক্তব্য অনুযায়ী, ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক মুন্নার নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
এ ব্যাপারে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আবরারের বাবা মামলার বাদী হবেন।’