লাইফস্টাইল ডেস্ক:
প্রসাধনীর জিনিসপত্র শেষ হয়ে গেলে এই সময়ে তা কিনতে পাওয়া একরকম অসম্ভবই। কিছু কিছু হয়তো মিলতে পারে, তবে বেশিরভাগই পাওয়া যাবে না। তাই আগে থেকেই আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। এমন জিনিসপত্র ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন যা যেকোনো সময়েই মিলবে।
আমাদের রান্নাঘরেই এমন অনেক উপাদান থাকে যা খাওয়ার পাশাপাশি ফেস বা হেয়ার প্যাকের উপাদান হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এক প্রজন্ম আগেও কিন্তু আমাদের মা-চাচিরা বোতলবন্দি হাজারো উপকরণ বা পার্লারের ভরসায় না থেকেও সৌন্দর্যচর্চা করতেন ঘরোয়া উপকরণের সাহায্যেই।
ওটস: ওটসে প্রোটিন, ভিটামিন বি ও বায়োটিন থাকে, তাই ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যরক্ষায় বা যেকোনো চুলকানির সমস্যায় তা দারুণ কাজে দেয়। তবে ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ওটসের মিহি গুঁড়া করে নেবেন। যাদের মাথা খুব ঘামে এবং চুলের গোড়ায় বিচ্ছিরি দুর্গন্ধ হয়, তারা সামান্য একটু ওটসের পাউডার ছড়িয়ে চুল আঁচড়ে নিন, কোনো সমস্যা হবে না। ওটমিলের গুঁড়া সামান্য দুধে ভিজিয়ে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায় পুরো শরীরে।
আমন্ড/ আমন্ড তেল: আমন্ড খেতে পারলে খুবই ভালো হয়। আমন্ড তেল সামান্য পরিমাণে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন, গোসলের পর ত্বকে লাগান, পার্থক্যটা আপনার নিজের চোখেই ধরা পড়বে সবচেয়ে বেশি।
নারিকেল তেল: ত্বকের আর্দ্রতাই বলুন বা স্কিন সারফেস লিপিড লেভেল বজায় রাখা- দু’দিক থেকেই দারুণ কার্যকরী নারিকেল তেল। চুলের গভীরে পৌঁছে তা চুল নরম রাখে।
মধু: প্রাকৃতিক ময়েশ্চরাইজার হিসেবে মধু অতুলনীয়। মধু-লেবু-নারিকেল তেলের মিশ্রণ ত্বক আর চুল স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
টমেটো: টমেটোয় লাইকোপিন নামে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। তা ত্বক আর মাথার তালুর পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখে। তাই হেয়ার ও ফেস প্যাকেও টমেটো ব্যবহার করুন। তবে যাদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর, তারা সরাসরি টমেটো ব্যবহার করার আগে একবার প্যাচ টেস্ট করে নেবেন।
সেরা নিউজ/আকিব