আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের জেরে আগেই এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেয়া হয়েছে টোকিও অলিম্পিক। তবে আগামী বছর গেমসটি আয়োজন সম্ভব কি না তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আয়োজক কমিটির প্রধান। এবার আরও শঙ্কা ছড়িয়ে গেলো। বলা হচ্ছে, যদি করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার সম্ভব না হয়, তাহলে আগামী বছরও অলিম্পিক আয়োজন করা সম্ভব হবে কি না সন্দেহ রয়েছে। বিবিসি’র একটি রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক দেবী শ্রীধর স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘যথাযথ প্রতিষেধক আবিষ্কারের উপরেই নির্ভর করছে আগামী বছর অলিম্পিকের আয়োজনের বিষয়টি।’
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) ও টোকিও অলিম্পিক আয়োজকরা চলতি সপ্তাহেই একটি বোর্ড মিটিং করে। মিটিংয়ের পর যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামী বছর অলিম্পিক আয়োজন নিয়েও বিশেষ আশার আলো তারা দেখছেন না। আইওসি কর্মকর্তা জন কোটস জানিয়েছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও অলিম্পিক করোনায় যথেষ্ট প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
তার সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মেনে গেমসে অ্যাথলেটদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও দর্শক সমাবেশ নিয়ে। অধ্যাপক শ্রীধর জানিয়েছেন, ‘বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, খুব শিগগিরই করোনার প্রতিষেধক চলে আসবে। তবে আমার মনে হয় না এক বছর বা দেড় বছরের আগে কিছু হবে। আগামী বছর যথাসময়ের মধ্যে প্রতিষেধক চলে এলে কোনও সমস্যা নেই। ওটাই হবে গেম চেঞ্জার।’
তবে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ বিভাগের প্রধানের কথায় প্রতিষেধকটি অবশ্যই সাধারণ মানুষের সহজলভ্য হতে হবে।
মহামারি করোনার কবল থেকে এখনও মুক্ত নয় অলিম্পিকের আয়োজক দেশ জাপান। সংক্রমণ ঠেকাতে সে দেশে আগামী ৬ মে পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। টোকিও অলিম্পিক আয়োজক কমিটির প্রধান ইয়োশিরো মোরি জানিয়েছেন, চলতি বছর অলিম্পিক গেমস বাতিল হওয়ার পর করোনা মোকাবিলার জন্য তাদের নতুন করে একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে হয়েছে। মোরির আশা, এই টাস্কফোর্স পরের বছর অলিম্পিকের আয়োজনের পথ মসৃণ করবে।
তিনি বলেন, ‘অলিম্পিক আয়োজনের জন্য গত ৫-৬ বছর ধরে আমরা নিরলস পরিশ্রম করেছি। আগামী একটা বছর আমরা আমাদের কাজ জারি রাখব একটা সফল অলিম্পিক আয়োজনের জন্য।’
সেরা নিউজ/আকিব