বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনী মোসলেহ উদ্দিনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনী মোসলেহ উদ্দিনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর - Shera TV
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪০ অপরাহ্ন

বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনী মোসলেহ উদ্দিনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত আরেক খুনি রিসালদার (বরখাস্ত) মোসলেহ উদ্দিনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির করা এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেশি দেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের জন্য মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া একজন শীর্ষ ষড়যন্ত্রকারীকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে নয়াদিল্লি বঙ্গবন্ধুর আরেক পলাতক খুনী আবদুল মাজেদকে হস্তান্তর করেছিল।

অবশ্য বাংলাদেশ ও ভারত এ খবর এখনও সরকারিভাবে নিশ্চিত করেনি।

গত ১২ এপ্রিল  বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। মাজেদ ২৩ বছর ধরে কলকাতায় আত্মগোপনে ছিলেন।

দীর্ঘদিন কলকাতায় পলাতক থাকার পর হঠাৎ করেই ঢাকায় আবদুল মাজেদের গ্রেপ্তারের খবর আসে। পুলিশের দাবি, ৬ এপ্রিল ভোর ৩টার দিকে ঢাকার মিরপুর সাড়ে-১১ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

এনডিটিভির ওই খবরে বলা হয়েছে, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনকে সোমবার সন্ধ্যায় একটি অঘোষিত স্থলসীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে সোপর্দ করা হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী মোসলেহউদ্দিন বঙ্গবন্ধুকে গুলি করেছিলেন বলে মনে করা হয়।

খবরে আরও বলা হয়, দুই ঘাতক প্রায় দুই দশক ধরে পশ্চিমবঙ্গে বাস করে আসছিল। আবদুল মাজেদ থাকতেন কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের বেডফোর্ড লেনে। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দক্ষিণ কলকাতায় তার বাড়ির কাছ থেকে আটক করা হয়েছিল তাকে। আর মোসলেহ উদ্দিনকে সেখান থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে বনগাঁ থেকে আটক করা হয়। কলকাতায় আবদুল মাজেদ টিউশনি ও সুদের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আর মোসলেহ উদ্দিন একটি ছোট ভেষজ ওষুধের দোকান চালাতেন।

ইস্টার্নলিঙ্কস ডটকম নামের একটি নিউজ পোর্টাল এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে জানায়, আবদুল মাজেদ ফাঁসির আগে মোসলেহ উদ্দিনের অবস্থান প্রকাশ করে গেছেন।

সূত্র জানায়, মোসলেহ উদ্দিনের সন্ধান পেতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ পর্যায় থেকে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে অভিযান চলছিল। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশও এই অভিযান সম্পর্কে জানত না।

এরপর সন্দেহভাজনের ছবি ও ভিডিওসহ অপারেশন সম্পর্কে প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হলে, বেশকিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়। কারণ কিছু সূত্র ছবির ব্যক্তিকে (মোসলেউদ্দিন বলে যাকে সন্দেহ করা হচ্ছিল) দেখে জানায় যে, তিনি কয়েক বছর আগে মারা গেছেন।

তবে কয়েকটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, চেহারা শনাক্ত করার কিছু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি মাধ্যমে বাংলাদেশ নিশ্চিত হয় যে, যাকে হস্তান্তর করা হচ্ছে তিনি সত্যিই দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360