ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
ভারতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হওয়ার হার দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
এতে বলা হয়েছে, দেশে করোনায় সুস্থ হওয়ার হার বেড়ে ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ হয়েছে; যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল মাত্র ১৩ শতাংশ। এছাড়া করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণের ক্ষেত্রেও বেশ অগ্রগতি হয়েছে।
দেশটিতে লকডাউন জারি করার আগে করোনা আক্রান্ত দ্বিগুণ হতে সময় লেগেছিল মাত্র ৩ দশমিক ৪ দিন। কিন্তু সারাদেশে লকডাউন জারির পর রোগী দ্বিগুণ হয়েছে ১১ দিনে।
মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৮ হাজার ৩২৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৭১৮ জন; এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ৩৩ হাজার ৫০ জনে পৌঁছেছে। করোনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন এক হাজার ৭৪ জন।
ভারতে করোনায় বর্তমানে মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ২ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৫ শতাংশ নারী বলে জানিয়েছে দেশটির এই মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব লাল আগারওয়াল বলেন, রাজধানী নয়াদিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, ওডিশা, রাজস্থান, তামিলনাডু এবং পাঞ্জাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে সময় লেগেছে ১১ থেকে ২০ দিন। অন্যদিকে, কর্ণাটক, লাদাখ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড এবং কেরালায় ২০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে আক্রান্ত দ্বিগুণ হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, দেশজুড়ে গত ২৪ মার্চ থেকে লকডাউন জারির কারণে করোনা সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঠেকানো গেছে। লকডাউন জারি না করা হলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার শঙ্কা থাকতো।
ভারত সরকারের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান নীতি আয়োগের প্রধান নির্বাহী অমিতাভ কান্ত বলেন, আমাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, দেশে করোনা পজিটিভ এবং মৃত্যুর হার ধারাবাহিকভাবে কমছে। তবে তা তাৎপর্যপূর্ণ নয়।
ভারতে আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের সময় বাড়িয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লকডাউন আবারও বাড়ানো হবে কিনা সে ব্যাপারে শিগগিরই তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন বলে দেশটির সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে। তবে তারা বলেছেন, যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণ বেশি; সেসব এলাকায় লকডাউনের বিধি-নিষেধ অব্যাহত থাকবে। এছাড়া কম সংক্রমিত এলাকায় লকডাউন শিথিল করা হতে পারে।
ভারতের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত দিল্লি, মুম্বাই এবং আহমেদাবাদ শহরে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী পাওয়া গেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এসব এলাকায় মহামারি হ্রাসের কোনো লক্ষণ নেই।
সেরা নিউজ/আকিব