লাইফস্টাইল ডেস্ক:
কাঁচা কলা ভীষণ উপকারী একটি সবজি। পেটের নানারকম সমস্যা সারাতে এর জুড়ি মেলা ভার। এটি সবজি হিসেবেও বেশ সুস্বাদু। কাঁচা কলা ঝোল, ভর্তা, ভাজি নানাভাবে খাওয়া যায়। এতে আছে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি, ভিটামিন সিসহ নানা উপকারী উপাদান। জেনে নিন এই সময়ে কাঁচা কলা কেন খাবেন-
নিয়মিত কাঁচা কলা খাওয়া খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানের মাত্রা যেমন কমে যায়, বৃদ্ধি পায় রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা।
নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয় অনেকটাই। এতে করে শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
কাঁচা কলায় আছে প্রচুর ফাইবার, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ডাইজেস্টিভ ট্র্যাকের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই পেট খারাপের সমস্যা থাকলে কাঁচা কলা খান।
কাঁচা কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার কোনো সম্ভাবনাই থাকে না। বরং সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এই ফলটি। ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে কাঁচা কলা খেতে পারেন।
কাঁচা কলায় আছে পটাশিয়াম যা শরীরে প্রবেশ করার পর ব্লাড ভেসেলের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে শিরা-উপশিরার ভেতরে তৈরি হওয়া প্রেসারকেও কমিয়ে ফেলে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না।
কাঁচা কলায় উপস্থিত রেজিস্টেন্স স্টার্চ হজম হতে সময় নেয়। ফলে বহুক্ষণ ক্ষুধা পায় না। আর ক্ষুধা না পেলে খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমতে শুরু করে। ফলে শরীরে ক্যালরির প্রবেশ ঘটে কম। ওজন স্বাভাবিকভাবেই কমতে শুরু করে।
এককাপ কাঁচা কলায় প্রায় ৫৩১ এম জি পটাসিয়াম থাকে, যা পেশির গঠনে উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি নার্ভ এবং কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে ইন্টেস্টাইনে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। পেটের নানারকম অসুখ থেকেও মুক্তি মেলে।
সেরা নিউজ/আকিব