চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের মুসলমানদের উপর চীন তার দমননীতি বন্ধ না করা পর্যন্ত চীনা কর্মক’র্তাদের ভিসা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মঙ্গলবার এক টুইটবার্তায় এই ঘোষণা দেন। খবর : এএফপির।
পম্পেও তার বার্তায় বলেন, জিনজিয়াং থেকে মুসলমান ও তাদের সংস্কৃতি মুছে দিতে চীন জোরপূর্বক সেখানকার দশ লাখ মুসলমান নাগরিককে নিষ্ঠুর উপায়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। চীনকে অবশ্যই তাদের দমননীতি ও নজরদারির ইতি টানতে হবে। একইসঙ্গে চীনের মুসলামানদের মুক্তি দিতে হবে ও তাদের বিদেশ ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের উপর নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরদিনই চীনা কর্মকর্তার ভিসা বন্ধের এমন ঘোষণা দিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর ফলে কয়েক বছর ধরে চলা মার্কিন-চীন অর্থনৈতিক যুদ্ধ আরও ফুঁসে উঠলো।
নিজের আরেকটি বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের সকল সরকারি কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীন সমাজতান্ত্রিক দলের কর্মকর্তা যারা উইঘুরদের দমন-নিপীড়নের সাথে জ’ড়িত তাদের ভিসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া জিনজিয়াং প্রদেশের কাজাখ ও অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলমানের উপর অত্যাচারে লিপ্তদেরও ভিসা দেয়া হবে না। এই আদেশ ওইসকল কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের উপরও কার্যকর হবে। এমনকি তাদের ছেলেমেয়েরা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনার জন্য আবেদন করলে তাও বাতিল করে দেয়া হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অবশ্য নির্দিষ্ট কোন চীনা কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে, মার্কিন সাংসদরা বিশেষ করে জিনজিয়াং অঞ্চলের কমিউনিস্ট পার্টি প্রধান কুয়েংঙ্গুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। চীনের কমিউনিস্ট এই নেতা পূর্বে তিব্বতে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর উপর কঠোর হওয়ার কারণে নিজ দলে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন।