স্পোর্টস ডেস্ক:
জন্মস্থান পর্তুগালের মাদেইরার গিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো । তখন তিনি কি আর জানতেন এত লম্বা সময় থাকতে হবে সেখানে। ইতালিতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মারাত্মক আকার ধারণ করায় পর্তুগালেই থেকে যেতে হয় তাকে। প্রায় দুই মাস মাদেইরার থাকার পর সোমবার ইতালিতে ফিরেছেন পর্তুগিজ তারকা। অবশ্য এখনই জুভেন্টাসের অনুশীলনে ফেরা হচ্ছে না তার, থাকতে হচ্ছে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে।
১৮ মে ইতালিয়ান ক্লাবগুলোর পুরোদমে অনুশীলনে ফেরার কথা। রোনালদোরও ওই সময়ই তুরিনে ফেরার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো। কিন্তু অনেক অঞ্চল অনুশীলন মাঠ খোলার অনুমতি দেওয়ায় ইতালিয়ান সরকার ৪ মে থেকে ক্লাবগুলোকে নিজেদের কার্যক্রম চালানোর ঘোষণা দেয়। তখনই জুভেন্টাস তাদের বিদেশি খেলোয়াড়, যারা ইতালিতে ছিলেন না, তাদের ফিরে আসার নির্দেশ দেয়।
সেই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রায় দুই মাস পর তুরিনে ফিরেছেন রোনালদো। লম্বা সময় পর্তুগালে ছিলেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার। তাই ইতালিতে ফিরলেও অনুশীলনে এখনই যোগ দেওয়া হচ্ছে না তার। স্বেচ্ছায় ১৪ দিন আলাদা থাকতে হবে রোনালদোকে। তিনি তুরিন ছাড়ার পর জুভেন্টাসের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জুভেন্টাস অনুশীলন করছেন। তাদের অনুশীলনে ফেরার দৃশ্য ফুটবলভক্তদের জন্য স্বস্তির হলেও সিরি ‘আ’ কবে শুরু হবে, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি ইতালিয়ান লীগ কর্তৃপক্ষ। শঙ্কা আরও বেশি জন্মেছে বুন্দেসলিগার অনুশীলনের দৃশ্যপটে। জার্মান লীগের দলগুলো অনুশীলন শুরু করার পর নতুন করে করোনাভাইরাস থাবা মেরেছে। এফসি কোলনের তিন জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর জার্মান ফুটবলে আরও ১০ জনের পজিটিভ ধরা পড়েছে। এই অবস্থায় বুন্দেসলিগার ভবিষ্যৎ নিয়ে জন্মেছে সংশয়। তাই ইতালিয়ান ক্লাবগুলো অনুশীলনের অনুমতি পেলেও তাদের মাঠের লড়াইয়ে ফেরার বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত।
সেরা নিউজ/আকিব