ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চলমান লকডাউন প্রত্যাহারের ধারাবাহিক পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। এ পরিকল্পনা অনুসারে আগামী মাস থেকেই বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনদের সঙ্গে আবারও মিলিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ব্রিটিশ নাগরিকরা।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, দেশের এই দুর্দশা সমাপ্তির দ্রুততম কোনও পথ নেই। তাড়াহুড়ো করে বড় কোনও পদক্ষেপ নিলে তাতে দ্বিতীয়বার সংক্রমণ বাড়তে পারে।
হাউস অব কমন্সের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু আশা-ভরসা বা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রলুব্ধ হয়ে নয়, তার সরকারের কার্যক্রম পরিচালিত হবে বিজ্ঞান ও জনস্বাস্থ্যের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে।
সোমবার লকডাউন প্রত্যাহারে ৫০ পৃষ্ঠার রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। এতে থাকা উল্লেখযোগ্য নির্দেশনাগুলো হলো-
গণপরিবহন বা জনসমাগমের জায়গায় মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
>> নিউজিল্যান্ডের আদলে পরিবার ও নিকটতম বন্ধুদের নিয়ে গৃহভিত্তিক ‘বাবলস’ ব্যবস্থা চালু করা। অর্থাৎ ছোট ছোট বাবলস বা দলে বিভক্তরা একে অপরের সঙ্গে মিশতে পারবে।
>> গলফ বা টেনিসের মতো খেলার অনুমতি মিললেও দলগত খেলা নিষিদ্ধই থাকবে।
>> যাদের বাসায় থেকে কাজ করা সম্ভব, তাদের সেভাবেই কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
>> উৎপাদন, নির্মাণ, প্রস্তুকারক, বিতরণ, গবেষণার মতো খাতে কর্মরতদের আগামী বুধবার থেকেই কাজে ফিরতে বলা হয়েছে।
>> অতিথি সেবা ও অনাবশ্যক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
>> গুরুত্বপূর্ণ সেবাখাতে কর্মরত ব্যক্তিদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
>> প্রাইমারি স্কুল জুন থেকে চালু হবে। তবে বেশিরভাগ সেকেন্ডারি স্কুল আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
>> শিশুদের স্কুলে না পাঠালে জরিমানা দিতে হবে না।
সেরা নিউজ/আকিব