তবে বিপত্তি বাধে চীনা বংশোদ্ভূত সিবিএস নিউজের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি ওয়েজিয়া জিয়াং প্রশ্নতে।
সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে সিবিএস নিউজ-এর প্রতিনিধি ওয়েজিয়া জিয়াং বলেন, আপনি বলেছেন বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় যুক্তরাস্ট্রে করোনা পরীক্ষা অনেক ভালো। তাহলে প্রতিদিন কেন আমেরিকানরা প্রাণ হারাচ্ছেন এবং নতুন নতুন রোগী করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এরপরও কি আপনি যুক্তরাষ্ট্রের করোনা পরীক্ষাকে একটি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা হিসাবে দেখছেন?
জবাবে ট্রাম্প বলেন, সারা বিশ্বে প্রতিদিন মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। সম্ভবত এই প্রশ্নটি আপনার চীনকে করা উচিত। আমাকে নয়। চীন এর উত্তর ভালো দিতে পারবে।
এরপর ট্রাম্প প্রশ্নের জন্য পরবর্তী সংবাদিককে ডাকতে চাইলে ওয়েজিয়া জিয়াং বলেন, স্যার, এটা বিশেষ করে আমাকে কেন বলছেন?
পাল্টা উত্তরে ট্রাম্প বলেন, আমি কাউকে নির্দিষ্ট করে বলছি না। এমন কাউকে বলছি যে, বাজে প্রশ্ন করে। আমি তোমাকে বলেছি।
তখন আবার সিবিএস প্রতিনিধি বলেন, আমার প্রশ্নটা কি বাজে ছিল? কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর কোন উত্তর না দিয়ে অন্য রিপোর্টারকে প্রশ্নের জন্য আহ্বান জানান। এ পর্যায়ে সিএনএন-এর প্রতিনিধি কেইটলান কলিন্স প্রশ্ন করার জন্য মাইক্রোফোন নেন। কিন্তু ট্রাম্প তার প্রশ্ন নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, ‘না। অন্য কেউ।’কিন্তু কলিন্স প্রশ্ন নিতে অনুরোধ জানালে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে বেরিয়ে যান ক্ষুব্ধ ট্রাম্প।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের এমন আচরণ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষক তারা সেটমায়া এক টুইটে বলেন, আরেকটা হতাশাজনক সংবাদ সম্মেলন।
সূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান
সেরা নিউজ/আকিব