অনলাইন ডেস্ক:
কালিফোর্নিয়ার কোম্পানি সরেন্টো থেরাপিউটিক দাবি করেছে তারা এমন একটি এন্টিবডি আবিষ্কার করেছে, যা করোনা সংক্রমণ শতভাগ আটকে দিতে পারে। বায়োটেকভিত্তিক এই কোম্পানির বিজ্ঞানীরা এটাকে একরকম ‘কিউর’ বা প্রতিকার হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। তারা বলছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের টীকা আবিষ্কার না হবে, ততদিন এই এন্টিবডি করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। কোম্পানিটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এই অনুমোদন পেলেই তারা মাসে এই এন্টিবডির ২,০০,০০০ ডোজ তৈরি করতে পারবে বলে জানিয়েছে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়, সান ডিয়েগো ভিত্তিক কোম্পানি সরেন্টো থেরাপিউটিকস। তাদের দাবি তারা এসটিআই-১৪৯৯ কোড নম্বরের এন্টিবডি তৈরি করেছে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই এন্টিবডি মানুষের শরীরে প্রবেশ করানোর পর করোনা সংক্রমণ শতভাগ থামিয়ে দেয়। নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই স্কুল অব মেডিসিনের সহযোগিতায় সরেন্টো একটি ওষুধ তৈরি চেষ্টা করছে। তাতে কতগুলো এন্টিবডির সংমিশ্রণ ঘটানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে এসটিআই-১৪৯৯ একটি। এ বিষয়ে কোম্পানিটি একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মাসে যে পরিমাণ এন্টিবডি উৎপাদন করতে পারবে তা টীকা আসার আগেই পর্যাপ্ত আকারে পাওয়া যাবে বলে তাদের আশা। এ জন্য তারা এফডিএ’র কাছে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সবুজ সংকেত দেয়া হয় নি তাদের। ওদিকে এমন ঘোষণার পর সরেন্টোর শেয়ারমূল্য শতকরা প্রায় ২২০ ভাগ বেড়ে গেছে। কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. হেনরি ফক্স নিউজকে বলেছেন, আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই যে, প্রতিকার এসে গেছে। আমরা এমন সমাধান নিয়ে এসেছি, যা শতকরা ১০০ ভাগ কাজ করে। যদি আমাদের দেহে এন্টিবডি থাকে তাহলে সামাজিক দূরত্বের প্রয়োজন নেই। কোনো ভয়ভীতি ছাড়া সবাই সমাজে চলাফেরা করতে পারবেন। তবে বিষয়টি যদির ওপর নির্ভর করে। কোম্পানিটি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা তাদের ল্যাবরেটরিতে মানবকোষের ওপর পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে। তবে তারা যথার্থভাবে বলতে পারে না, এটা মানবদেহে সংক্রমণ থামিয়ে দিয়েছে কিনা। কারণ, এই এন্টিবডিটি এখনও মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয় নি। ফলে এটা মানবদেহে প্রবেশ করালে ভিতরে প্রবেশ করে কি আচরণ করে এবং তাতে কি রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, তার পুরোটাই অজানা এখনও। ডজনখানেক এন্টিবডির মধ্যে সরেন্টোর এন্টিবডি এসটিআই-১৪৯৯ কোষের রোগ প্রতিরোধ বাড়ায়, যাতে করোনার মতো অনুজীবকে নিষ্ক্রিয় করে। করোনা ভাইরাসের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে একথা বলেছে ওই কোম্পানি।