ইতালির পথে হাটছে ব্রাজিল, একদিনে আক্রান্ত ৯৫ হাজার - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
ইতালির পথে হাটছে ব্রাজিল, একদিনে আক্রান্ত ৯৫ হাজার - Shera TV
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ অপরাহ্ন

ইতালির পথে হাটছে ব্রাজিল, একদিনে আক্রান্ত ৯৫ হাজার

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৮ মে, ২০২০

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই সতর্ক করে বলেছিল, করোনাভাইরাসের পরবর্তী ‘হটস্পট’ ব্রাজিল। সেই সতর্কতা এখন সত্যি হতে চলেছে। গেল এক সপ্তাহে দেশটিতে হুহু করে বেড়েছে সংক্রমণ ও প্রাণহানি।

করোনা রোগীর সংখ্যায় ইতোমধ্যে ফ্রান্স ও ইতালিকেও ছাড়িয়ে গেছে ব্রাজিল। মারা গেছেন ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, নতুন মৃত্যুপুরী হয়ে উঠছে ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটি। এদিকে কেরালা ও আসামসহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে নতুন করে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।

জার্মানি, ব্রিটেন ও পোল্যান্ডে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় পুলিশ শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করে। প্রায় দু’মাস পর মৃত্যু একশ’র নিচে নামল স্পেনে। করোনায় প্রথম মৃত্যু দেখল নেপাল। খবর বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্সসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের।

বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ১১৪ জন। মারা গেছেন ৩ লাখ ১৩ হাজার ৭৯৭ জন। অবস্থা আশঙ্কাজনক ৪৪ হাজার ৭৯২ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৩০ হাজার ১৩৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৯৫ হাজার ৫৯৯ জন, মারা গেছে ৪ হাজার ৩৬০, যা আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিল ৫ হাজার ৭২। যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ২১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৯০ হাজার ১৩৪ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪১ জন।

স্পেনে মোট আক্রান্ত ২ লাখ ৭৭ হাজার ৭১৯ জন, মারা গেছেন ২৭ হাজার ৬৫০ জন। যুক্তরাজ্যে মোট আক্রান্ত ২ লাখ ৪০ হাজার ১৬১ জন, মারা গেছেন ৩৪ হাজার ৪৬৬ জন। ইতালিতে মোট আক্রান্ত ২ লাখ ২৪ হাজার ৭৬০ জন, মারা গেছেন ৩১ হাজার ৭৬৩ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৬২৫ জনের।

এদিকে ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৯১৯ জন এবং মারা গেছেন ৮১৬ জন। এর ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৩৩ হাজার ১৪২ জন, মোট মৃত্যু ১৫ হাজার ৬৩৩ জন।

আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যের পরই এখন ব্রাজিলের অবস্থান। কিন্তু আক্রান্ত শনাক্তে ওই চারটি দেশ যে পরিমাণ পরীক্ষা করেছে ব্রাজিলের পরীক্ষা তার চেয়ে ঢের কম।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরীক্ষা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ, স্পেনে ৩০ লাখ, রাশিয়ায় ৬৬ লাখ এবং যুক্তরাজ্যে ২৪ লাখ। এর বিপরীতে ব্রাজিলে পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ৭ লাখ।

আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি হয়ে ওঠা ও পরীক্ষায় অন্য দেশ থেকে পিছিয়ে থাকার কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর ওপর চাপ বাড়ছে, যিনি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উপেক্ষা করে প্রমাণিত নয় এমন ওষুধের ব্যাপক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন।

এ নিয়ে বিরোধে তার নতুন নিয়োগকৃত স্বাস্থ্যমন্ত্রীও শুক্রবার পদত্যাগ করেছেন। এর আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলার কৌশল নিয়ে বিরোধের কারণে পূর্ববর্তী স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছিলেন তিনি।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে কঠোর সামাজিক দূরত্ববিধি, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনের পদক্ষেপ নিয়ে স্কুল, দোকানপাট ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয় ব্রাজিলের বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার। কিন্তু বোলসোনারো এর তীব্র সমালোচনা করেন।

রাজ্যগুলোর এসব পদক্ষেপের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি অসহনীয় হয়ে উঠছে যুক্তি দেখিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা বলেন তিনি।

ভারতে কয়েকটি রাজ্যে ফের সংক্রমণ : কেরালা, হিমাচল প্রদেশ, আসাম এবং গোয়ার মতো রাজ্যে নতুন সংক্রমণ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনে এই রাজ্যগুলোয় ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা। এক মাসের ওপর কেনো নতুন সংক্রমণ ঘটেনি গোয়ায়। মার্চের শেষদিকে যে সাতজন সংক্রমিত হন, তারা সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। তবে গত দু’দিনে আটজন নতুন করে সংক্রমিতের খবর পাওয়া গেছে।

একইভাবে হিমাচল প্রদেশেও চলতি মাসের শুরুর দিকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৪১ জন করোনা রোগী; কিন্তু গত সপ্তাহখানেকের মধ্যে ৩৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। আসামে গত এক সপ্তাহে ৪০টি নতুন কেস নথিভুক্ত হয়েছে। এভাবে সব কটি রাজ্যে বাড়ছে সংক্রমণ।

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৬৪ জন, মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ৯১ হাজার ৪৪৯ জন এবং মৃত্যু ২ হাজার ৮৯৬ জন।

তিন দেশে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ, আটক শতাধিক : রোববার লন্ডনের হাইড পার্ক, সাউদাম্পটন, কারডিফ, গ্রাসগো ও নটিংহামে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।

এ সময় পুলিশবিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের ভাই পিয়ারস করবিনসহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। জার্মানির কয়েকটি শহরেও লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।

পোল্যান্ডে বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।

কাতারে মাস্ক না পরলে ৩ বছরের কারাদণ্ড : মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। মাস্ক না পরলে কঠোর শাস্তির বিধান শুরু করেছে দেশটি। মাস্ক না পরলে সেখানে তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে এবং একই সঙ্গে জরিমানাও দিতে হবে। এখন পর্যন্ত কোনো দেশেই এমন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়নি। মাস্ক না পরার জন্য কাতারেই বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

নেপালে প্রথম মৃত্যু : নেপালে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার প্রায় চার মাস পর প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। শনিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী কাঠমান্ডুর একটি জেলার বাসিন্দা ছিলেন মারা যাওয়া ২৯ বছর বয়সী নারী।

২৪ জানুয়ারি উহানফেরত এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর দেহে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। সংক্রমণ ততটা ভয়াবহ না হলেও ২৪ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করে নেপাল সরকার।

অ্যামাজনে হাসপাতাল তৈরির ঘোষণা পেরুর : করোনাভাইরাস রুখতে বিশ্বের বৃহত্তম রেইনফরেস্ট অ্যামাজনে একটি হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে পেরু।

অ্যামাজনের আদিবাসী গোত্রগুলোর মধ্যে কোভিড-১৯-এর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অ্যামাজন জঙ্গলের বড় অংশ পড়েছে ব্রাজিলে। দেশটি এখন দক্ষিণ আমেরিকার করোনাভাইরাসের হটস্পট। সেখানে অন্তত ৩৮টি আদিবাসী অঞ্চলে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।

স্পেনে দু’মাস পর মৃত্যু একশ’র নিচে : নভেল করোনাভাইরাসে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া ইউরোপের দেশ স্পেনে প্রথমবারের মতো মৃত্যু নেমে এসেছে একশ’র নিচে। প্রায় দুই মাস পর রোববার দেশটিতে মাত্র ৮৭ জন করোনায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে শনিবার দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা ছিল ১০২।

ব্রিটেনে দরিদ্ররাই বেশি আক্রান্ত : অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ব্রিটেনের ৩ হাজার ৬০০ করোনা রোগীর ইতিহাস বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, দেশটিতে দরিদ্ররাই বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। গবেষণার বিষয়টি বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে।

চীনে আবারও করোনা ছাড়ানোর আশঙ্কা : দ্বিতীয় দফায় চীনে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে চীন এখন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

দেশটির শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, কমিউনিটির মধ্যে ইমিউনিটির অভাবে করোনার দ্বিতীয় প্রবাহ তৈরি হতে পারে। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360