সেরা নিউজ ডেস্ক:
কোভিড-১৯ মহামারীতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানি ও আক্রান্তে যুক্তরাষ্ট্রের ধারেকাছেও নেই কোনো দেশ। দেশটির অঙ্গরাজ্য নিউইয়র্কে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন করোনায়।
করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারসের হালনাগাদ তথ্যে বলা হয়েছে, রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশটিতে ৯০ হাজার ১১৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে কোভিড ১৯-এ। আর আক্রান্তের সংখ্যাও ১৫ লাখ ছাড়িয়েছে। সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৫ লাখ ৭ হাজার ৭৭৩ জনের দেহে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৩২ জন। ৪ লাখ ২৯ হাজার ৩৪৫ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন। আক্রান্তদের মধ্যে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৩২ জনের অবস্থা স্থিতিশীল।
নিউইয়র্কে ২৮ হাজার ১৫৪ জন মারা গেছেন করোনায়। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৯৯ জন। আক্রান্ত ও মৃতদের মধ্যে বহু বাংলাদেশিও রয়েছেন।
সবশেষ নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ব্রুকলিন কিংস ব্রোক মেডিকেল সেন্টারে শামসুন্নাহার (৬০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি সন্দ্বীপের মুছাপুর গ্রামে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত হয়ে ২৫৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হলো।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের এপিক সেন্টার নিউইয়র্কে মৃত্যুর সংখ্যা ওঠানামা করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিউইয়র্কের সব হাসপাতালেই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী ভর্তির সংখ্যা কমেছে। নগরীর সর্বত্র টেস্টিং সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। লোকজন ক্লিনিকে, চার্চে গিয়ে সংক্রমণ পরীক্ষা করাতে পারছে।
এমতাবস্থায় নিউইয়র্ক ধাপে ধাপে প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। সমুদ্রসৈকত ও পার্কগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে চলাচলের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ব্যবসাবাণিজ্যে নতুন স্বাভাবিকতা নিয়ে লোকজনকে অভ্যস্ত হতে দেখা যাচ্ছে। মাস্ক পরে, দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করছেন মানুষ।
সেরা নিউজ/আকিব