স্পোর্টস ডেস্ক:
মুশফিকুর রহীম ও আকবর আলীর স্মারকের সঙ্গে একই প্ল্যাটফর্মে নিলামে তোলা হয়েছিল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও নাঈম শেখের ব্যাট। প্রায় ১৭ লাখ টাকায় মুশফিকের ব্যাট এবং ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় আকবরের স্মারক বিক্রি হলেও মোসাদ্দেক ও নাঈম শেখের ব্যাটের যে ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, নিলামে সেই দরও ওঠেনি।
শনিবার নিবকো স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পিকাবোয় নিলামে তোলা হয়েছিল চার ক্রিকেটারের স্মারক। বৃহস্পতিবারই নিলাম শেষ হয়। শুক্রবার মুশফিকুর রহীম ঘোষণা দেন তার ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাট ২০ হাজার মার্কিন ডলারে (প্রায় ১৭ লাখ টাকা) কিনে নিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির সংগঠন- শহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন। অন্যদিকে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্যবহৃত আকবর আলীর জার্সি ও গ্লাভস কিনে নেন এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি। ২০০০ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয় আকবরের স্মারক দুটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু মোসাদ্দেক-নাঈমের ব্যাট সম্পর্কে কিছু জানা যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে জানা যায় এই দুজনের ব্যাটের নিলামে আসলে সে অর্থে দর ওঠেনি।
এমনকি ভিত্তিমূল্যই অতিক্রম করেনি।
মোসাদ্দেক নিলামে তুলেছিলেন আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের ফাইনালে যে ব্যাট দিয়ে ফিফটি করেছিলেন সেই ব্যাটটি। টাইগারদের প্রথমবারের মতো কোনো ট্রফি জয়ের ম্যাচে ডাবলিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মোসাদ্দেক খেলেছিলেন ২৭ বলে ৫২ রানের ইনিংস। ব্যাটটির ভিত্তি মূল্য ছিল ৩ লাখ টাকা। অন্যদিকে নাঈম গত নভেম্বরে ভারত সফরে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৮১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। যে ব্যাট দিয়ে এসেছিল সেই ইনিংস, সেটি নিলামে তোলেন তিনি। যার ভিত্তিমূল্য ছিল ১ লাখ টাকা।
জানা গেছে আবার নতুন করে এই দুজনের ব্যাটের নিলাম আয়োজন করা যায় কিনা এমন চিন্তা করছে কর্তৃপক্ষ। শুরু থেকেই অবশ্য এই চার জনের নিলাম প্রক্রিয়ায় বেশ জটিলতা তৈরি হয়। বিশেষ করে মুশফিকুর রহীমের ব্যাটে প্রচুর ভুয়া কল আসতে থাকে। এ কারণে কিছু সময়ের জন্য বন্ধও ছিল মুশফিকের ব্যাটের নিলাম কার্যক্রম।
সেরা নিউজ/আকিব