সেরা নিউজ ডেস্ক:
থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা থাই এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল কেন্দ্রীয় দেউলিয়া আদালতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। সোমবার দেশটির একজন সরকারী মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন। মুখপাত্র নারুমন পিনোসিনওয়াত বলেছেন, বিমান সংস্থাটি উদ্ধারের জন্য স্টেট এন্টারপ্রাইজ পলিসি অফিসের পরিকল্পনাটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার জমা দেয়া হবে। তবে পরিকল্পনার ব্যপারে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
তবে মঙ্গলবার থাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, থাইল্যান্ডের মন্ত্রিসভা দেউলিয়া আদালতের মাধ্যমে থাই এয়ারওয়েজ পুনর্গঠনের একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। আদালতের নেতৃত্বে জাতীয় বিমান সংস্থাটি পুনর্গঠনের পরিকল্পনা সরকারী অর্থায়নে পরিচালিত উদ্ধার প্যাকেজের আগের প্রস্তাবটিকে প্রতিস্থাপন করে যা দেশে তীব্র সমালোচিত হয়েছিল।
করোনাভাইরাস মহামারির সংকটে ভ্রমণ এবং পর্যটনখাত বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে থেকেই থাই এয়ারওয়েজ লোকসানের মুখে ছিল। বিমান সংস্থাটি প্রথমে দেনামুক্তির জন্য সরকারের কাছ থেকে ১৭০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে যে, দেউলিয়া হলে সংস্থাটি পুনর্গঠনের সময় সরকারের মালিকানা ৫০ শতাংশের নীচে নেমে আসবে। ফলে এটি বেসরকারীকরণ হতে পারে। পুণরুদ্ধারের জন্য কর্মী, বহর এবং ফ্লাইট ছাঁটাইয়ের মতো বিকল্পগুলো নিয়েও চিন্তা করা হচ্ছে।
থাই এয়ারওয়েজ ২০১৯ সালে ৩৭ কোটি ৪৩ লাখ ডলার, ২০১৮ সালে ৩৬ কোটি ১৯ লাখ ডলার এবং ২০১৭ সালে ৬ কোটি ৫৮ লাখ ডলার লোকসান করেছে। থাই গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এটি প্রায় ৯৪০ কোটি ডলার ঋণের বোঝা বহন করছে।
এপ্রিলের শুরুতে এয়ারলাইন্সটি তার সমস্ত ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে, কারণ থাইল্যান্ড করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউন জারি করেছিল। তাদের প্রায় সমস্ত কর্মচারীদের ব্যাপকভাবে হ্রাস করা বেতনে ছুটিতে রাখা হয়েছিল। গত সপ্তাহে সরকার আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জুনের শেষ অবধি বাড়িয়ে দিয়েছে।
সেরা নিউজ/আকিব