ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
বর্তমানে কোভিড নাইন্টিনে সবথেকে বেশি মৃত্যুর হার স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সুইডেনে। দেশটিতে প্রতিদিন প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে মহামারিতে প্রাণ হারাচ্ছেন ৬.০৮ জন করে। এটি বিশ্বের সব দেশের থেকে ভয়াবহ। লকডাউনের কারণে ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত কমে এসেছে। তবে সুইডেনে হার্ড ইমিউনিটি তৈরির জন্য লকডাউন দেয়া হয়নি। কিন্তু এখনো সেই কৌশল কার্যকরি হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা দেশটিতে।
কোভিড নাইন্টিনে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হওয়া দেশগুলোতেও ১০ লাখে প্রতিদিন প্রাণ হারানোর সংখ্যা সুইডেনের থেকে অনেক কম। এরমধ্যে ফ্রান্সে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে প্রতি ১০ লাখে ২.২৬ জন।
স্পেনে এ হার ২.৬২ জন, ইতালিতে ২.৯৭ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ৪.১১ জন ও বৃটেনে ৫.৫৭ জন। এখন পর্যন্ত স্পেনে প্রতি ১০ লাখে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৯৪.১২ জন করে। ইতালিতে প্রাণ গেছে ৫২৯.৩৮ জন করে। এদিক দিয়ে এখনো সুইডেন পিছিয়ে আছে। দেশটিতে প্রতি ১০ লাখের মারা গেছেন মোট ৩৬৬.১৭ জন করে।
সুইডেন যেভাবে নিজেদের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করে কোভিড নাইন্টিনকে রুখে দিতে চেয়েছিল তা প্রথম দিকে বড় ধরণের সমালোচনার মুখে পড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে মানুষের জীবন নিয়ে পরীক্ষা চালানোর সঙ্গে তুলনা করে। তবে এক পর্যায়ে এসে সুইডেন মডেলকেই ভবিষ্যৎ বলে আখ্যা দেয় সংস্থাটি। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই দেশটি এই মহামারির বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে পারবে।
সেরা নিউজ/আকিব