ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
কুয়েত সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম উইংয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম, স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত দুই অনুবাদক এবং এক কর্মচারীসহ মিশনেরই ৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। দেশটিতে শনিবার পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত বা শনাক্ত হওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৪৮-এ। এরমধ্যে মারা গেছেন কমপক্ষে ২৫ জন।
কুয়েত সিটির বিভিন্ন হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্টাফ এবং প্রবাসী শ্রমিকদের চিকিৎসা চলছে। কুয়েত মিশনের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানিয়েছে, অনুবাদক হিসাবে অনেক দিন ধরে কাজ করার মিশনের একজন লোকাল স্টাফের অবস্থা গুরুতর। করোনা ধরা পড়ার পরপরই তাকে আইসিইউতে নিতে হয়েছে। এখনও তার অবস্থা অপরিবর্তিত।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম গত বছর কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়োগ পান। তাকে শ্রম উইংয়ে সংযুক্ত করা হয়। করোনাকালে কুয়েত সরকার দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিসহ অবৈধ শ্রমিকদের সাধারণ ক্ষমা দিয়ে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে। প্রায় সাড়ে চার হাজার বাংলাদেশি সাধারণ ক্ষমার সূযোগ নিয়েছেন। এরমধ্যে প্রায় ১৮০০ জনকে স্পেশাল ফ্লাইটে ঢাকায় পাঠিয়ে কুয়েত সরকার। আগামী ২৭ শে মে থেকে ১২ ই জুনের মধ্যে বাকীদেরও ফ্লাইটে তোলা হবে।
কুয়েত সরকার তাদের একাধিক প্রত্যাবাসন ক্যাম্প রেখেছে। তাদের অনেকের পাসপোর্ট না থাকায় ট্রাভেল পাস বা টিপি সরবরাহ করতে হচ্ছে দূতাবাসের থেকে। মূলত শ্রম উইংয়ের কাজ এটি। কুয়েত সরকারের ব্যবস্থাপনায় ট্রানজিট ক্যাম্পে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের খোঁজ-খবর না নেয়াসহ শ্রমিকদের প্রতি দূতাবাসের অবহেলার বিস্তর অভিযোগ সত্ত্বেও এটা সবাই মানেন কুয়েতে বৈধ-অবৈধ মিলে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশির যাবতীয় বিষয় এই ক’জন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীকেই দেখভাল করতে হয়। সূত্র মতে, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম এবং তার সহযোগীরা শ্রমিকদের মাঝে ত্রাণ কার্য এবং অন্যান্য কনস্যুলার সেবা দিতে গিয়ে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।
কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সরবরাহ করা তথ্য মতে, দেশটিতে শনিবার নতুন করে ৯০০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বা শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৫৬৪ জনে। করোনায় আক্রান্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে শনিবার। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪৮ জনে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৫ হাজার ৭৪৭ জন।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রবাসী কর্মীদের ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিতে গিয়ে সৌদি আরবের জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সেলর মো.আমিনুল ইসলাম (গত ১২ এপ্রিল) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। দীর্ঘ এক মাস চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে তিনি সম্প্রতি হাসপাতাল ছেড়েছেন।
সেরা নিউজ/আকিব