ভারতের সাথে ফেনী নদীর পানি চুক্তি ও তা নিয়ে স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ব্যপারে সব মহলেই আলোচনা সমালোচনায় মুখর। এবার ফেসবুকে ভিন্নমত প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেয়ায় ডাঃ শেখ বাহারুল আলমকে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যপদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করেছে জেলা কমিটি। নেতারা বলছেন, দলের সভাপতি বা দল নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা সংগঠন বিরোধী। তবে বাহারুলের দাবি, তিনি দল বা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছুই বলেলনি।
বাংলাদেশ ভারত চুক্তি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডাঃ শেখ বাহারুল আলম গত ৬ অক্টোবর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাস গত ৭ অক্টোবর খুলনার একটি প্রত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ৯ অক্টোবর জেলা আওয়ামীলীগের জরুরি সভায়, বাহারুলকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার ও কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না সে ব্যাপারে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুন জানান, দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বাহারুল বলছেন তিনি সংগঠনের প্রধান বা সংগঠনের কোনো সমালোচনা করেনি। তিনি একান্তই ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করেছেন। যারা বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগেরই ক্ষতি করছেন।
বাহারুলের অভিযোগ ফেসবুকে স্ট্যাটাস বিষয় নয়, আগামী জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নিজের আধিপত্য বিস্তর করতেই তাকে বহিস্কার করা হয়েছে।
তবে এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন শেখ হারুন।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের সই করা কারণ দর্শনো নোটিশ বৃহস্পতিবার ডাকের মাধ্যমে ডাঃ শেখ বাহারুল আলম ঠিকানায় পাঠানো হয়। বাহারুল বলছেন, নোটিশ পাওয়ার পর প্রতিটি লাইনের জবাব দেবেন তিনি।