দেশের নির্বাচনী আইন বদলে দিলেন পুতিন - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
দেশের নির্বাচনী আইন বদলে দিলেন পুতিন - Shera TV
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন

দেশের নির্বাচনী আইন বদলে দিলেন পুতিন

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৫ মে, ২০২০

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনা মহামারি নিয়ে দেশ যখন বিধ্বস্ত অবস্থায় তখন নির্বাচন পদ্ধতিকে পাল্টে ফেললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছে, দেশের নির্বাচনী আইন পরিবর্তন অনুমোদন করেছেন পুতিন। এর ফলে রাশিয়ানরা ভবিষ্যতে জাতীয়, স্থানীয় এমনকি কোনো গণভোটেও ভোট দিতে পারবেন ইলেকট্রনিক উপায়ে অথবা ইমেইলে। শনিবার পুতিন এই পরিবর্তন অনুমোদন দিলেও বিরোধীরা এর সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, ইলেকট্রনিক উপায়ে ভোট হলে তাতে জালিয়াতি আরো বেশি সহজ হবে।

নির্বাচনে অনিয়ম পর্যক্ষেণ করা নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের জন্য খুব কঠিন হবে। তারা আরো বলেছেন, এই পরিবর্তন এমন এক সময়ে করা হলো যখন করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন চলছে। সরকার এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়েছে, যাতে এই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিরোধীরা তাদের মত প্রকাশ করতে কোনো প্রতিবাদ বিক্ষোভ করতে না পারেন।

নতুন নির্বাচনী আইনের অধীনে ভোটিং সফটওয়্যার দেয়া হবে সারাদেশে। তা ব্যবহার করা হবে স্থানীয়, জাতীয় ও গণভোটে। তবে পরিবর্তিত এই ব্যবস্থা আসন্ন সাংবিধানিক গণভোটে ব্যবহার হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। সাংবিধানিক গণভোট হওয়ার কথা রাশিয়ায় কিছুদিনের মধ্যে। সেই গণভোটে পুতিনের ক্ষমতার মেয়াদ আরো দু’মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলা হবে।

যদি তিনি এতে উতরে যান তাহলে ২০২৪ সালের পরও তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট থাকবেন। অর্থাৎ ২০৩৬ সালের আগে তিনি থাকবেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ওই গণভোট হওয়ার কথা ছিল মধ্য এপ্রিলে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে তা বাতিল হয়। রাশিয়ান মিডিয়ার তথ্যমতে, নতুন গণভোট হতে পারে ২৪ শে জুন। বার্তা সংস্থা তাস বলছে, এই পরিবর্তিত ভোটিং সিস্টেম যারা সমর্থন করছেন তারা বলছেন, নতুন এই ব্যবস্থা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থামাতে সাহায্য করবে। কারণ, দীর্ঘ সময় ভোটকেন্দ্রে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে হবে না।

এরই মধ্যে মস্কোতে চার দফা পরীক্ষা করা হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম। এর মধ্যে কোনো পক্ষ থেকে এই ব্যবস্থাকে হ্যাক করে নি।
এ বছর জানুয়ারিতেই পুতিন রাজনীতিতে ঝড় তোলেন। ওই সময় তিনি আকস্মিকভাবে প্রস্তাব করেন সংবিধান সংশোধনের। তিনি যে দেশের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। ২০০০ এবং ২০০৮ সালের মধ্যে টানা দু’দফা দেশের প্রেসিডেন্টে ছিলেন পুতিন। এর মধ্যে একবার তিনি চার বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালে আবার প্রেসিডেন্ট হয়ে ক্ষমতায় আসেন। ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করেন ৬ বছরের জন্য। ২০১৮ সালে চতুর্থ দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360