অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশের আকাশসীমায় সিঙ্গাপুরের বিমান - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশের আকাশসীমায় সিঙ্গাপুরের বিমান - Shera TV
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০২:২৩ অপরাহ্ন

অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশের আকাশসীমায় সিঙ্গাপুরের বিমান

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৭ মে, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

অনুমতি ছাড়া সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমানের বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করে ফ্লাইট পরিচালনার ঘটনায় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল এরিয়ায় তোলপাড় চলছে। কমপক্ষে ৮৪ জনের প্রাণহানি আর হাজারো মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে সদ্য বাংলাদেশ ও ভারতের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে আচমকা ঢাকার আকাশে ভিন দেশি ওই বিমানের উপস্থিতি! প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী হয় ঢাকার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ও পাইলটের মধ্যকার উত্তেজিত বাতচিত। অত:পর বিষয়টি অমীমাংসিত রেখেই ফ্লাইটটি প্রতিবেশী দেশে আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে।

রুট পরিবর্তনের কারণে এমন ভুল হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে স্বীকার করেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কতৃপক্ষ। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে ভুলের পনুরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্ট পাইলটের বিরুদ্ধে কার্যকর বা সক্রিয় তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মূখপাত্র। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কতৃপক্ষের বরাতে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রিত দেশটির চ্যানেল নিউজ এশিয়া (সিএনএ) এ খবর দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ডিফেন্স বিটের রিপোর্টার আকিল হাজিক মাহমুদের তৈরি করা প্রতিবেদনে তদন্ত শুরু হওয়াসহ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।  “সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ইনভেস্টেটিগেটিং অাফটার পাইলট হু ফ্লিউ ইনটু বাংলাদেশ এয়ারস্পেইস কোড নট গিভ ক্লিয়ারেন্স নাম্বার” শিরোনামে রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে ২৫ শে মে। রিপোর্টে প্রকাশ সিএনএ’কে এয়ারলাইন্স অথোরিটি জানিয়েছে, গত ১৯ মে তাদের এসকিউ-৩২৬ ফ্লাইটটি ফ্রাঙ্কফুর্ট যাচ্ছিল।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এড়াতেই প্লেনটি গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। বিমান সংস্থাটি বলছে, প্লেনের গতিপথ পরিবর্তনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছিল এবং এর জন্য বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নিয়েছিল তারা। তবে বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহারে প্রতিটি ফ্লাইটের জন্য অতিরিক্ত এয়ার ডিফেন্স ক্লিয়ারেন্স (এডিসি) আগাম সংগ্রহ জরুরি ছিল, যা পাইলট বা বিমান কতৃপক্ষ করেনি। এসকিউ-৩২৬ ফ্লাইটটি যে রুট ব্যবহার করে সাধারণত সিঙ্গাপুর এয়ারের ফ্র্যাঙ্কফুর্টগামী ফ্লাইট এটি ব্যবহার করে না। রিপোর্ট মতে, যখন ঢাকা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) বারবার এডিসি নম্বর নিশ্চিতের জন্য পাইলটকে অনুরোধ করছিলো তখন পাইলটের জবাব ছিল অস্পষ্ট। যাতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বে ধাওয়া করার নজীর থাকলেও ঢাকার তরফে পাইলটকে হুমকি বা সতর্ক করা হলেও বাস্তবে তা করা হয়নি। উল্লেখ্য, ১৯ মে সিঙ্গাপুর এয়ারের ফ্লাইটটি তার গতি পরিবর্তন করে মিয়ানমার হয়ে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশের আকাশে প্রবেশ করে। প্রায় ৩০ মিনিটে দুবলার চর, সুন্দরবন হয়ে বাংলাদেশের আকাশসীমা পড়ি দেয়। ১টা ২০ মিনিটে ফ্লাইটটি ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে। ২০১৭ সালের বেবিচকের সংশোধিত নীতিমালা মতে, যে কোনো বেসামরিক ফ্লাইট বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্রবেশের আগে এডিসি নম্বর সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক। এছাড়া ওভারফ্লাই করতে হলে ওই ফ্লাইটকে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশের কমপক্ষে ১০ মিনিট আগে জানানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যে দেশ হয়ে ফ্লাইট আসছে তাদেরও অবহিতকরণের দায় রয়েছে। কিন্তু সিঙ্গাপুর এয়ারের ফ্লাইটের ক্ষেত্রে না পাইলট, না এয়ারলাইন্স কতৃপক্ষ না মিয়ানমার (সর্বশেষ যে ওই দেশের আকাশে ছিল ফ্লাইটটি) কেউই বাংলাদেশকে অবহিত করেনি।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360