ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
ইংল্যান্ডে শিথিল হচ্ছে করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে জারি লকডাউন। আগামী সোমবার থেকে দল বেধে বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন একই বাড়ির বাসিন্দারা। একসঙ্গে সর্বোচ্চ ছয় জনের জমায়েতে অনুমোদন দেয়া হবে সেদিন থেকে। তবে এক্ষেত্রে, অন্যান্য বাড়ির সদস্যদের থেকে অন্তত ২ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য মিরর।
গার্ডিয়ান অনুসারে, দল বেধে বাইরে ঘোরার অনুমতির পাশাপাশি ইংল্যান্ডে জারি অন্যান্য বিধিনিষেধেও পরিবর্তন আসছে আগামী সপ্তাহ থেকে। কিছু স্কুলও খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। জনসন জানান, নার্সারি সহ প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সবার আগে স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাবে।
এছাড়া, খুলে দেয়া হবে পোশাক ও মোটরগাড়ির শোরুমগুলো। আগামী ১৫ই জুন থেকে শর্ত সাপেক্ষে অনাবশ্যক দোকানপাট ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলও খুলে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে, দল বেধে বাড়ির বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে জনসন বলেন, সোমবার থেকে একই বাড়ির সর্বোচ্চ ৬ জন একসঙ্গে বাইরে যেতে পারবেন। তবে অবশ্যই অন্য বাড়ির সদস্যদের থেকে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তবে নিজস্ব বাগান ও অন্যান্য ব্যক্তিগত জায়গায় একত্রিত হতে পারবেন ভিন্ন বাড়ির সদস্যরা।
জনসন জানান, লকডাউন শিথিলের মাত্রা আপাতত সীমিত রাখা হবে। তিনি সতর্ক করেন, সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে ফের কঠোর করা হবে বিধিনিষেধ। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ফের স্থানীয় পর্যায়ে সংক্রমণ হতে পারে। আমরা খুব সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো। যেখানে প্রয়োজন সেখানে ফের বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
বৃটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃটেনজুড়ে মারা গেছেন ৩৭৭ জন করোনা রোগী। এ নিয়ে দেশটিতে অন্তত ৩৭ হাজার ৮৩৭ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হলো। সেখানে নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জনসনের প্রধান উপদেষ্টা ডমিনিক কামিংসের লকডাউন অমান্যের এক ঘটনা ঘিরে বৃটেনজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কামিংস জানান, লকডাউনের মধ্যে করোনা উপসর্গ থাকা স্ত্রীকে নিয়ে ২৬০ মাইল ভ্রমণ করেছেন তিনি। তার এ ঘটনা সামনে আসার পর থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের সরকারি নির্দেশনার প্রতি গুরুত্ব প্রদর্শন না করা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। লকডাউন অমান্য করায় কামিংসের পদত্যাগের দাবি উঠেছে তার নিজ দল থেকেই। তবে কামিংস জানান, তিনি ভুল কিছু করেছেন বলে মনে করেন না। জনসনের এই উপদেষ্টা আরো জানান, তিনি পদত্যাগ করবেন না বা ক্ষমা চাইবেন না। নিজের উপদেষ্টার কর্মকাণ্ডের সমালোচনা না করে তার পক্ষে সাফাই গেয়ে সমালোচনার শিকার হয়েছেন জনসন নিজেও। এমতাবস্থায় লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিলেন জনসন।
সেরা নিউজ/আকিব