লাইফস্টাইল ডেস্ক:
চুলের যত্নে পার্লারমুখী হওয়ার উপায় নেই। যতটুকু যত্ন নেয়ার, নিতে হবে বাড়িতেই। পার্লারে গিয়ে চুলের পরিচর্যা করলে হয়তো চুল দেখতে অনেক সুন্দর হতো, কিন্তু এখন তা একেবারেই সম্ভব নয়। তাই হাতের কাছে যা আছে তা দিয়েই কাজ চালাতে হবে।
মনে রাখবেন, এই অবস্থায় যদি স্ক্যাল্পে বাড়তি ময়লা জমে বা খুশকি হয়, তা হলে চুল পড়বে বেশি। তাই অন্য সময়ে যদি যত্ন নাও করে থাকেন, তা হলে আজ থেকেই শুরু করুন। তা না হলে কিন্তু চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকবে।
ত্বক বা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পিছনে আপনার সামগ্রিক জীবনচর্যার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। যারা জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকেন, প্রচুর পানি খান, খাদ্যতালিকায় মাছ, ডিম, ফলমূল, শাকসবজি থাকে তাঁদের ত্বক আর চুল দুই-ই ভালো থাকে।
এমন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার বেছে নেয়ার চেষ্টা করুন যা আপনার চুলের প্রকৃতির সঙ্গে মানানসই। চুলে নিয়মিত তেল লাগানো দরকার। সপ্তাহে অন্তত দু’বার শ্যাম্পু দিতেই হবে। তারপর কন্ডিশনার লাগানো আবশ্যক।
কন্ডিশনার শেষ হয়ে গেছে? হাতে দু’-তিন ফোঁটা নারিকেল তেল নিয়ে শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলের দৈর্ঘ্য বরাবর লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে দেখবেন প্রায় একই এফেক্ট আসছে, জট পড়বে না। সেই সঙ্গে ব্যায়াম করুন। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে চুলও ভালো থাকবে।
ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। তাতে বেশি চুল ভাঙে। শুকনো চুল সাবধানে আঁচড়ান, জট ছাড়ান আরও সাবধানে। জট পড়ছে মানে কিন্তু আপনার চুলের কোমল-মসৃণতা বজায় থাকছে না।
চুলে নিয়মিত তেল লাগান। দই-মধু, অ্যালোভেরা-মধু বা নারিকেল তেল-ডিম আর লেবুর রসের মিশ্রণে তৈরি প্যাক চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। এর মধ্যে কোনটি আপনার চুলের জন্য সেরা সেটা বুঝে নিতে হবে। যেটি ব্যবহারের পর চুল সবচেয়ে মসৃণ থাকবে, সেটির উপর আস্থা রাখুন।
প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে বেশিদিন। ডাল, ডিম, সোয়াবিন, মাছ ইত্যাদি খান নিয়ম করে। আয়রন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ যৌগ, তার অভাবে গোড়া আলগা হয়ে চুল পড়া বাড়ে।
নিয়মিত শাক খাবেন। ভালো হয় খেজুর খেতে পারলেও। লেবু জাতীয় ফল খান রোজ। তা থেকে পাবেন ভিটামিন সি। লাল চালের ভাত, আটার রুটি থেকে মিলবে বায়োটিন।
সেই সঙ্গে জরুরি মোটা দাঁতের কাঠের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানো। তাতে জটমুক্ত হবে চুল, স্বাস্থ্যের আভায় ঝলমল করবে।
সেরা নিউজ/আকিব