আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
হাগিবিস ধেয়ে আসছে জাপানের দিকে। বলা হচ্ছে পৃথিবীর সৃষ্টি হও্যার পর থেকে বড় ঘূর্ণিঝর আসেনি কখনো। আজ ১২ অক্টোবর আছড়ে পড়বে জাপানে।
সেখানকার স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে জাপানের দিকে ধেয়ে আসতে শুরু করেছে। শনিবার সন্ধ্যায় সেটি আছড়ে পড়বে। রবিবার দুপুরে সেটি উত্তর জাপানের হোক্কাইডোর পূর্বাংশের উপর দিয়ে যাবে বলে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা শুক্রবার জানিয়েছে। ১৯৫৮ সালে ঘূর্ণিঝড়ে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল জাপান। সেবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। নিখোঁজ হন আরও অনেকে। কিন্তু টাইফুন হাগিবিস এর তীব্রতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
গত কয়েক দশকের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী ঝড় ‘হাগিবিস’ ধেয়ে আসছে ‘উদীয়মান সূর্যের দেশে’র দিকে। চলতি সপ্তাহে মহা শক্তিধর এই ঝড় মূল ভূখণ্ডে আছড়ে পড়বে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা।’হাগিবিস’ কারণে ৩০ ইঞ্চি বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় প্রায় ২১৬ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।ফলে টোকিয়ো মেট্রোপলিটন এলাকা-সহ মধ্য জাপানের কান্ট-কোশিন অঞ্চলে বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে প্রশাসন। রয়েছে সমুদ্রে ৪১ ফুট উচ্চতার ঢেউ ওঠার আশঙ্কাও।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে শনিবার (১২ অক্টোবর) রাগবি বিশ্বকাপের ম্যাচ, ট্রেন এবং বিমান ষেবা বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। একইসঙ্গে স্থানীয় মানুষদের বাড়ির বাইরে না বের হতে বলা হয়েছে। বিদেশি নাগরিকদের বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জাপানের টোকিয়ো অঞ্চলে এই ঘূর্ণিঝরটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে।
সেখানকার স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে জাপানের দিকে ধেয়ে আসতে শুরু করেছে। শনিবার সন্ধ্যায় সেটি আছড়ে পড়বে। রবিবার দুপুরে সেটি উত্তর জাপানের হোক্কাইডোর পূর্বাংশের উপর দিয়ে যাবে বলে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা শুক্রবার জানিয়েছে। ১৯৫৮ সালে ঘূর্ণিঝড়ে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল জাপান। সেবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। নিখোঁজ হন আরও অনেকে। কিন্তু টাইফুন হাগিবিস এর তীব্রতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
এদিকে, টাইফুন ‘হাগিবিস’-এর মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ক্যাবিনেটের সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে।