অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসের যে স্থানে জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করা হয়েছিল সেখানে শত শত ফুল ও শোক বার্তা রেখে যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। রেখে যাওয়া এ শোক বার্তায় সংবেদনশীল শ্রদ্ধার স্থান হয়ে উঠেছে মিনিয়াপোলিস।
পুলিশ জানায়, গতকালও মিনিয়াপোলিস বিক্ষোভে উত্তাল ছিল। কিন্তু আজ একেবারেই শান্ত। বিক্ষোভকারীরা এখন ক্লান্ত ও হতাশ। সম্ভবত তারা জর্জের ভাই টেরেন্স ফ্লয়েডের বার্তাটিকে হৃদয়গ্রাহী করেছে।
আজ বিক্ষোভের সপ্তম দিনে জর্জ ফ্লয়েডের ভাই টেরেন্স ফ্লয়েড প্রথমবারের মতো ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। বিক্ষোভকারী ও সমর্থকদের সাথে কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি যে আপনারা সবাই বিচলিত। তবে আমি কখনও প্রতিবাদ ও বিক্ষোভকে এমন স্থানে নিয়ে যাব না, যা আমার সম্প্রদায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এভাবে আমার ভাই ফিরে আসবে না। অনেকেই সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। বরং আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করুন।
গত ২৫ মে পুলিশ অন্যায়ভাবে নিরস্ত্র জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করছে এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এ থেকেই মূলত আন্দোলনের সূত্রপাত। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে অন্যায়ভাবে পুলিশ সদস্যরা হত্যা করে। এ সময় জর্জ ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন। হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরা হয়। সে বারবার নিশ্বাস নেবার জন্য আর্তনাদ করতে থাকে এবং বাঁচার আর্জি জানায়। অন্যায়ভাবে ফ্লয়েডকে মৃত্যুর ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গরা বিক্ষোভ শুরু করলেও এখন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
বর্তমানে বিক্ষোভটি যুক্তরাষ্ট্রের ৭০টির ও বেশি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। কারফিউ আরোপ করা হয়েছে ৪০টি শহরে। এর মধ্যে হোয়াইট হাউসে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। এখন হোয়াইট হাউস এলাকা জুড়ে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভের এমন পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য সমালোচনার ঝড় তুলেছে। কঠোর ও বল প্রয়োগের নির্দেশনায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপরও চড়াও হতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
সেরা নিউজ/আকিব