ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেনাবাহিনী মোতায়েনের হুমকি উপেক্ষা করেই যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় নেমেছে বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার (২ জুন) গভীর রাতেও দেশটির শহরগুলোতে চলমান থাকে এই বিক্ষোভ।
এর আগে পুলিশের হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভ পরিস্থিতি শান্ত করতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শহর ও রাজ্য সরকারগুলো যদি বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয় তবে সেনাবাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানান তিনি।
তবে সেনা নামানোর হুমকির তোয়াক্কা নয়া করেই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। এসময় বিক্ষোভকারীরা দাঙ্গা ও লুঠপাট বন্ধ করার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছিলেন। আর তাই নিরাপত্তা বাহিনীর বাড়াবাড়িও তেমন একটা চোখে পড়েনি। এদিকে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে আমেরিকার পাশাপাশি আরো বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদীরা সোচ্চার হন।
সেনাবাহিনী মাঠে নামানো হুমকি দেয়ার পর হোয়াইট হাউজের সামনে থাকা বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘আমরা কী চাই। ট্রাম্প আমাদের ভয় দেখাতে চাইছেন’।
ট্রাম্পের সমালোচনা করে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ‘ট্রাম্পের উচিত ক্ষোভ দূর করার জন্য কাজ করা। তা না করে তিনি বিক্ষোভকারীদের আরো বেশি উস্কানি দিচ্ছেন।
ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর মিটচ ম্যাকনেল বলেন, ‘এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, আমেরিকায় এখনো বর্ণবিদ্বেষ কিছুটা রয়ে গিয়েছে। কিন্তু এসব সমালোচনা সত্ত্বেও ট্রাম্প তার আগের মনোভাব থেকে সরে আসতে পারছেন না’।
এদিকে ছয় বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসেছেন জর্জ ফ্লয়েডের স্ত্রী রক্সি ওয়াশিংটন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই, সবাই জানুক পুলিশ আমার কাছ থেকে কী ছিনিয়ে নিয়েছে। আমি আমার বাচ্চার জন্য এখানে এসেছি। জর্জের জন্য এখানে এসেছি। জর্জ একজন ভালো মানুষ ছিলো। আমি চাই সে ন্যায় বিচার পাক’।
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ২ হাজার ৭শ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে অ্যামেরিকা জুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছেন লস এঞ্জেলসের পুলিশ প্রধান। এছাড়া বিক্ষোভে গোলাগুলিতে ইতিমধ্যেই এক পুলিশ কর্মকর্তা মারা গেছে। আহত হয়েছেন আরো অনেক।
সেরা নিউজ/আকিব