জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের রাস্তাজুড়ে বিক্ষোভ করছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ এখন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বৃহৎ এক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। গোটা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারও বিক্ষোভকারী জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকারীদের বিচার ও বর্ণবাদের অবসানে সোচ্চার হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
রোববার (৭ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, হোয়াইটহাউসের পাশে লাফাইয়েট স্কয়ারের কাছে হাজারও মানুষ বিক্ষোভরত অবস্থায় আব্রাহাম লিংকনের স্মৃতিসৌধের কাছে মিলিত হয়। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ব্যাপক ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টিতে কমপক্ষে ১১ জন প্রতিবাদকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দমাতে দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
ইতোমধ্যে দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল ছোড়ে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের এমন নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা জানায়, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশি হামলা ও নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। আমরা বিচার চাই। বর্ণবাদের অবসান চাই। পুলিশের হামলায় অনেক বিক্ষোভকারী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৫ মে পুলিশ অন্যায়ভাবে নিরস্ত্র জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করছে এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এ থেকেই মূলত আন্দোলনের সূত্রপাত। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে অন্যায়ভাবে পুলিশ সদস্যরা হত্যা করে। এ সময় জর্জ ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন। হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরা হয়। সে বারবার নিশ্বাস নেবার জন্য আর্তনাদ করতে থাকে এবং বাঁচার আর্জি জানায়। অন্যায়ভাবে ফ্লয়েডকে মৃত্যুর ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গরা বিক্ষোভ শুরু করলেও এখন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
সেরা নিউজ/আকিব