প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিপর্যস্ত ইতালি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। তবে করোনার প্রভাবে দেশটির অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা করছে পরিসংখ্যান সংস্থা আইএসটিএটি।
ইতালির অর্থনীতিতে ২০১৯ এর শেষে এবং ২০২০ সালের একেবারে শুরুর দিকে শিল্প উৎপাদন এবং বাহ্যিক বাণিজ্য থেকে আগত কয়েকটি পুনরুদ্ধার সংকেত নিয়ে স্থবির হয়ে পড়েছিল। ফেব্রুয়ারির শেষে থেকে শুরু হওয়া সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত করোনা কনটেইনমেন্ট ব্যবস্থায় উৎপাদন, বিনিয়োগ ও ভোগের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে এবং শ্রমবাজারকে খুব নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। বেশিরভাগ দেশগুলিতে দ্রুত মহামারিটি ছড়িয়ে পড়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেও বিঘ্নিত করেছে এবং ফলস্বরূপ ইতালিয় সংস্থাগুলির রফতানিতে নাটকীয় পতন ঘটে।
এর ফলে চলতি বছরে ইতালির জিডিপি ৮ দশমিক ৩ শতাংশ হ্রাস পাবে এবং পরবর্তী বছরে ৪ দশমিক ৬ শতাংশে পুনরুদ্ধার হবে। সোমবার (৮ জুন) ইতালির রোমে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিসংখ্যান সংস্থা আইএসটিএটি এই সব তথ্য জানিয়েছে। পরিসংখ্যান সংস্থাটি জানিয়েছে, কোভিড -১৯ মহামারির বিস্তার এবং সরকার কর্তৃক গৃহীত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ অভূতপূর্ব।
আইএসটিএটি আরও বলেছে যে এই বছর পরিবারের গ্রাহক ব্যয়গুলোতে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস এবং বিনিয়োগে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পাবে। দেশটিতে নিষ্ক্রিয় মানুষের বৃদ্ধির ফলে বেকারত্ব বাড়বে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রায় ৫ লাখ লোক ইতিমধ্যেই কাজ সন্ধান বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে দেশটিতে বেকারত্ব বাড়তে পারে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ইতালিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সব কিছু বন্ধ করে লকডাউন করা হয়। দীর্ঘ তিন মাস সব কিছু বন্ধ থাকায় অর্থনীতিতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইতালি।
তবে করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ইতালির জীবন-জীবিকা। চালু করা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, পর্যটন শিল্পও খুলে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, করোনার প্রকোপে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির সুদিন ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে আগামী বছরের মে পর্যন্ত।
সেরা নিউজ/আকিব