সেরা নিউজ ডেস্ক:
হিউস্টনে নিজ শহরে মা লার্সেনিয়া ফ্লয়েডের কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে পুলিশী নির্যাতনে নিহত জর্জ ফ্লয়েড। তার মৃত্যুতে সপ্তাহের বেশি বিক্ষোভ চলে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। পুলিশী নির্যাতনে তার মৃত্যুতে মিনিয়াপোলিসের পুলিশ বাহিনী ভেঙে দেয়ারও ঘোষণা আসে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার জর্জ ফ্লয়েডকে চির বিদায় জানাতে তার পরিবারের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে তাকে বিদায় জানাতে দিনের শুরুতে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে হাজার হাজার জনতা ভিড় জমিয়েছে। অনেকেই তার প্রতি সম্মান জানাতে সোমবার টেক্সাসে চলে যান। গির্জার বাইরে জড়ো হতে থাকেন, যেখানে তাকে দেখার জন্য রাখা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত:
গত ২৫ মে পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান-আমেরিকান নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড। তার মৃত্যুর ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায় ডেরেক শভিন নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা তার ঘাড়ে প্রায় নয় মিনিট হাটু চেপে ধরেন। এ সময় ফ্লয়েড আকুতি-মিনতি করেও সেই পুলিশ কর্মকর্তার হাত থেকে রেহাই পাননি। কৃষ্ণাঙ্গ এ যুবকে হত্যার সময় আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত হলেও তারা তাকে উদ্ধার করেনি।
পরবর্তীতে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থানীয়দের করা ভিডিও ফুটেজে হত্যার দৃশ্য ধরা পড়ে। এ ঘটনায় চার পুশিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। সেকেন্ড ডিক্রি খুনের অভিযোগ আনা হয় পুলিশ কর্মকতা ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে। আর বাকিদের বিরুদ্ধে খুনের সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়। এমন নির্মম ঘটনায় মিনিয়াপোলিসের পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ভেঙে নতুন করে সাজানোর ঘোষণা আসে।
সেরা নিউজ/আকিব