অনলাইন ডেস্ক:
প্রথম টিপসটি এসেছিল দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছ থেকে। দ্বিতীয় টিপসটি দিল বাংলাদেশ জামাতুল মুজাহিদিনের সদস্য পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া শেখ রেজাউল ওরফে কিরণ। আট জুন কিরণ গ্রেপ্তার হওয়ার তিন দিন পরেই উত্তর চব্বিশ পরগনার বাদুড়িয়া থেকে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গ্রেপ্তার করলো ভারতের প্রথম লস্কর-ই-তৈবা মহিলা জঙ্গি বাইশ বছরের তানিয়া পারভিনকে।
কলকাতার একটি কলেজের আরবি ভাষার পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রথম বর্ষের ছাত্রীটির বিরুদ্ধে অভিযোগ হানি ট্র্যাপ বিস্তার করে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের কাছ থেকে গোপন তথ্য জেনে সে পাচার করতো লস্করের বসদের কাছে। তার মূলধন ছিল তার যৌবন। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকে অন্তরঙ্গ চ্যাট এর মাধ্যমে তানিয়া সেনা জওয়ান এবং অফিসারদের ঘনিষ্ঠ হতো।
এদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য সে পাচার করতো লস্করের কাছে ডার্ক ওয়েব ওর মাধ্যমে। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি শুক্রবার আদালত থেকে তানিয়া পারভিনকে দশদিনের হেফাজতে নিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে।
তানিয়ার গ্রেপ্তারে বাদুড়িয়ার মানুষজন বিস্মিত। এলাকায় সে ভালো মেয়ে বলে পরিচিত ছিল। সাজপোশাকে একটু উগ্র, ঠোঁটে কড়া লাল লিপস্টিক হলেও এলাকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পড়িয়ে সে জনপ্রিয়তাও পেয়েছিল। তানিয়ার বাবা আল আমিন মন্ডল একজন দিন দারিদ্র শ্রমিক। সেই বাড়ির মেয়ে এম এ পড়ে কলকাতায়, সমীহ পেত পরিবারটি।
গোয়েন্দাদের প্রথম সন্দেহ হয় তানিয়া পারভিনের মোবাইল ট্রাক করে। মেয়েটি এতবেশি ইন্টারন্যাশনাল কল করে কেন? অনুসন্ধানে চোখ ছানাবড়া হয় গোয়েন্দাদের। দুটি সিম এ কার্ড ভরা হয়েছে তিন হাজার ও চারহাজার টাকার। দামি মেকআপ ও পোশাকের রহস্য উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করতে গিয়ে দিন আনা দিন খাওয়া শ্রমিকের মেয়ের রহস্য উদ্ঘাটন করে। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তথ্য পাচারই তানিয়ার প্রধান কাজ ছিল। মলয়াপুরার গ্রামের মেয়েটি ইতিমধ্যে ঘুরে এসেছে দিল্লি, কাশ্মীর এবং মুম্বাই। তার ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সেরা নিউজ/আকিব