ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
পাকিস্তানে বেড়েই চলছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশটির করোনা পরিস্থিতির নতুন একটি অ্যালগরিদম তৈরি করেছে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ। তদের অ্যালগরিদমে উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে।
বলা হচ্ছে, ২০২০ সালের ১০ আগস্ট পাকিস্তানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা শীর্ষে পৌঁছাবে। ওই দিন পাকিস্তানে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছাবে প্রায় ৭৯ হাজারে। যদি কোনো ধরনের লকডাউন জারি করা না হয় তাহলে ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় প্রাণ হারাবেন ২২ লাখ ২৯ হাজার মানুষ।
যুক্তরাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গবেষণা করে এই অ্যালগরিদম চিত্র তৈরি করা হয়েছে। সেখানে আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য ছাড়া বিভিন্ন দেশের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।
ওয়েবসাইট অনুসারে, পাকিস্তান যদি ১১ জুলাই পর্যন্ত ৩২ শতাংশ জায়গায় লকডাউন আরোপ করে তাহলে ৪ আগস্ট সর্বোচ্চ আক্রান্ত হবে। এদিন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হবে এক কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার মানুষ।
ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষণায় অনুমান করা হচ্ছে, ১০ আগস্ট পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি মারা যাবে করোনায়। ধারণা করা হচ্ছে, এদিন পর্যন্ত পাকিস্তানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারেন ৭৮ হাজার পাঁচশ ১৫ জন মানুষ। এরপর ধীরে ধীরে মৃত্যুর সংখ্যা কমতে থাকবে। তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেই করোনামুক্ত হবে পাকিস্তান। যদি দেশটিতে কোনো ধরনের লকডাউন জারি করা না হয় তাহলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২২ লাখ ২৯ হাজার মানুষ মারা যাবেন।
তাদের মত অনুসারে পাকিস্তান চাইলেই করোনার লাগাম টেনে ধরতে পারে। অবিলম্বে যদি পাকিস্তানে সম্পূর্ণ লকডাউন আরোপ করা হয় তাহলে মৃত্যুর সংখ্যা কমবে। করোনার শেষ সময়ের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা সীমাবদ্ধ থাকতে পারে ১০ হাজার দু’শ জনে। ইম্পেরিয়াল কলেজের দেওয়া এই পরিসংখ্যান এক ধরনের সিমুলেশন। তারা অ্যালগরিদমের সাহায্যে এই তথ্য জানিয়েছেন।
সূত্র: জিও টিভি, দ্য নিউজ।
সেরা নিউজ/আকিব