মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার (১৬ জুন) পুলিশ সংস্কারের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন।
প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর ফলে প্রশংসাপত্র, প্রশিক্ষণ ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের মাধ্যমে আফ্রিকান আমেরিকান এবং অন্যদের প্রতি পুলিশের আচরণ উন্নত করার চেষ্টা করা হবে।
মিনিয়াপোলিসে পুলিশি হেফাজতে আফ্রিকান আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ফলে দেশজুড়ে বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প কঠোর হাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেওয়ার পরে এই আদেশ এসেছে।
ট্রাম্প তার এই প্রতিক্রিয়ার জন্য ডেমোক্রেটদের সমালোচনার মুখোমুখি হন এবং কয়েকটি জোট উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, এভাবে বিক্ষোভ ও করোনাভাইরাস মহামারি সামাল দেওয়ার চেষ্টা নভেম্বরে তার এবং অন্যান্য রিপাবলিকান নেতাদের পুনরায় নির্বাচনের সম্ভাবনাকে ব্যাহত করছে।
ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই আদেশের লক্ষ্য ভালো পুলিশি আচরণের জন্য বিবেচনামূলক অনুদানের ফেডারেল অনুমোদনের মাধ্যমে পুলিশ বিভাগকে উন্নত করা।
তারা বলেন, এই আদেশ সর্বশেষ আদর্শ বিধান অনুযায়ী পুলিশ বিভাগকে তার বাহিনী ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করবে, তথ্য আদান-প্রদানের উন্নতির ফলে খারাপ রেকর্ড রয়েছে এমন কর্মকর্তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড না জেনে নিয়োগ দেওয়া হবে না এবং মাদকাসক্তি ও গৃহহীনতা সংশ্লিষ্ট অহিংস মামলাগুলোর আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সমাজ কর্মীদের যুক্ত করা হবে।
সোমবার (১৫ জুন) ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, গত মাস থেকে আমরা যে বিষয়গুলো দেখছি এবং লক্ষ্য করছি সেগুলোর বিষয়ে কথা বলতে যাচ্ছি এবং কিছু সমাধান পেতে যাচ্ছি।
ট্রাম্পের আদেশ স্বাক্ষর করার অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা এবং পুলিশের হাতে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার উপস্থিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কংগ্রেসের আইনপ্রণেতারা পুলিশ সংস্কারের আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছেন। কয়েকজন সক্রিয়কর্মী পুলিশ বিভাগের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা তহবিল প্রত্যাহার করছি না। বরং আরো বিনিয়োগ ও প্রণোদনা দেওয়ার কথা ভাবছি।
ট্রাম্প আরো বলেছেন, আটলান্টায় পুলিশের একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে গুলি করার ঘটনাটি খুবই বিরক্তিকর ছিল।
শুক্রবার (১২ জুন) রাতে রেসার্ড ব্রুকস নিহত হওয়ায় আটলান্টার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং একজন পুলিশ প্রধান পদত্যাগ করেছেন।